জুমবাংলা ডেস্ক: রাজধানীর উত্তরার ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির বিষয়টি উঠে এসেছে। ফলে এ প্রকল্পের কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ‘শোকজ’ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।
জানা গেছে, সোমবার (১৫ আগস্ট) উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে বক্সগার্ডার প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি সকালে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।
বিকেলে সচিবালয়ে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সড়ক বিভাগের সচিব। এ সময় তিনি বিআরটি প্রকল্পের কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শোকজ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন।
সোমবার কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়াই ফাঁকা রাস্তায় বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার সরানোর কাজ চলছিল। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ক্রেন কাত হয়ে গার্ডার গিয়ে পড়ে প্রাইভেট কারের ওপর। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন নিহত হন। হৃদয় ও রিয়ামনি নামের নবদম্পতি বেঁচে যান।
জানা গেছে, প্রাইভেট কারটি চালাচ্ছিলেন হৃদয়ের বাবা মো. রুবেল মিয়া (৬০)। তিনি নিহত হয়েছেন। নববধূ রিয়ার মা মোছা. ফাহিমাও (৩৭) মারা গেছেন। নিহত অপর তিনজন হলেন ফাহিমার বোন ঝর্ণা (২৬) এবং তাঁর দুই শিশুসন্তান জান্নাতুল (৬) ও মো. জাকারিয়া (৪)।
হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনিকে (২১) উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জানা যায় তারা সদ্য বিবাহিত দম্পতি। বৌ-ভাতের অনুষ্ঠান শেষ করে স্বজনরা তাদের নিয়ে আশুলিয়ায় বাসায় ফিরছিলেন।
উত্তরায় গার্ডার পড়ে নিহত রুবেলের ‘৭ স্ত্রী’, মরদেহ নিয়ে ‘টানাটানি’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।