জুমবাংলা ডেস্ক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা।
রোববার রাতে শহরের এসএস রোডের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বাংলাদেশের কোথাও মুক্তিযুদ্ধ করেননি। তিনি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন তিনি পাকিস্তানের করাচিতে ছিলেন। তার বাবা আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ ছিলেন শান্তি কমিটির সদস্য। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর দেশে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরি করা হয়েছিল। সে সময় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকেও মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়।
নেতারা আরও বলেন, তিনি কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন তা বলতে পারবেন না। সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের সময় তাকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল কিন্তু তিনি আসেননি।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জে জনসভা করে জেলা বিএনপি। এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি-আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ নিয়ে ঢাকায় বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
তার এসব অভিযোগকে মিথ্যাচার দাবি করে রোববার পাল্টা এ সংবাদ সম্মেলন করে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট কেএম হোসেন আলী হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঢাকায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের উপস্থিতিতে সিরাজগঞ্জের ঘটনা নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর তারা সিরাজগঞ্জে সমাবেশের নামে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করেছিলেন। তারা সমাবেশে আসবে, তাহলে হাতে লাঠিসোঁটা, পেট্রলবোমা, দেশীয় অস্ত্র কেন?
অ্যাডভোকেট কেএম হোসেন আলী হাসান বলেন, সমাবেশ থেকে ৫ হাজার লোকের মিছিল নিয়ে শহরে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছিল। আমাদের নেতাকর্মীরা তখন অপ্রস্তুত ছিল। এ অবস্থায়ও মানুষের জানমাল রক্ষায় তাদের দুরভিসন্ধি প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। অস্ত্রধারীরা আমাদের দলের কেউ নয়। যাদের ছবি মিডিয়া এসেছে তারা আমাদের দলের কোনো কর্মী নয়।
তিনি আরও বলেন, ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে আমাদের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নাসহ বেশ কিছু নেতাকর্মীর নামে মিথ্যাচার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস-খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। যারা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে তারাই আওয়ামী লীগকে খুনি বলে।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকতে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর অত্যাচারের কথা সবাই জানে। একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। নাজমুল, সুজা, কুদ্দুসকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি স্বাধীনতার পর থেকে জাগদল, জাতীয় পার্টি ও বিএনপিসহ একাধিক দল করেছেন। স্বাধীনতার পর থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচরণ করে আসছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য্য, অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস, হাজী ইসহাক আলী, হেলাল উদ্দিন ও এসএম আহসান হাবীব এহসান বক্তব্য রাখেন।
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে নতুন দাবী বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।