জুমবাংলা ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ভারত বিরোধিতা। তবে এই পুরনো ট্যাবলেট এখন অকেজো।
রোববার দুপুরে ঢাকায় সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহৎ প্রতিবেশি ভারতের সাথে সম্পর্ককে যেমন নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, একইসাথে তাদের কাছ থেকে স্বার্থ আদায় করার ক্ষেত্রেও অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন।
তিনি বলেন, ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বার্থে, বাংলাদেশের অর্থনীতির স্বার্থে অনেকগুলো সমঝোতা স্মারক এবং চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। প্রত্যেকটা চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বার্থ শুধু সংরক্ষণ নয় বরং ভারতের কাছ থেকে আমরা স্বার্থ আদায় করেছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা অতীতেও দেখেছেন ৬৮ বছরের পুরনো ছিটমহল সমস্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এই সমস্যার সমাধান হয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার মাধ্যমে প্রায় বাংলাদেশের সমান আয়তনের সমুদ্রসীমা বিজয়ের ক্ষেত্রে একচুলও ছাড় দেওয়া হয়নি।
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, পৌনে দুইশ বছর আগে যখন আমাদের দেশে চট্টগ্রাম বন্দর গড়ে তোলা হয়, তখন মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতের পূর্বাঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্য। এখন চট্টগ্রাম বন্দর ভারত ব্যবহার করলে আমাদের রয়ালিটি দিতে হবে। তাদের যত পণ্য আসবে তার এবং পরিবহনের জন্যও আমাদের রয়ালিটি দিতে হবে। আমরা আয় করবো। যেভাবে সিঙ্গাপুর নেদারল্যান্ড ও অন্যান্য দেশগুলো বন্দর থেকে আয় করে. সেভাবে আমরা আয় করবো।
রাডার চুক্তি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমি অত্যন্ত দুঃখিত যে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে এই নিয়ে ভুল ও অসত্য সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে চুক্তি অনুসারে ভারত ২০টি রাডার কেনার জন্য গ্রান্ট দেবে অর্থাৎ এককালীন টাকা, যা ফেরত দিতে হবে না। সেই গ্রান্ট থেকে বাংলাদেশের কোস্ট গার্ড ২০টি রাডার কিনবে। কারণ কোস্ট গার্ডের ভালো রাডার নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।