নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) পদত্যাগকারী সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আর এসব অভিযোগ তদন্তে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।
দুদকের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, মাসুদ বিশ্বাস বিএফআইইউর প্রধান কর্মকর্তা পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করেছেন। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। ঘুষের বিনিময়ে স্কাই ক্যাপিটাল এয়ারলাইন্স লিমিটেডের বিমান ক্রয়ে সন্দেহজনক অনিয়মের অভিযোগ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে না পাঠাননি।
অনিয়ম ও অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে শেয়ার বাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিমিদ্রী লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়। ওই স্থতিগাদেশকে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন মাসুদ বিশ্বাস। তানাকা গ্রুপ, এস এ গ্রুপ এবং আনোয়ার গ্রুপের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং, অর্থপাচার সংক্রান্ত সুনিশ্চিত তথ্য থাকা সত্ত্বেও ওসব কেস আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে না পাঠিয়ে ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে নথিভুক্ত করেন তিনি।
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মাসুদের সঙ্গে যোগসাজশে ইসলামী ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন মাসুদ বিশ্বাস। আবদুল কাদির মোল্লার থার্মেক্স গ্রুপ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে বিদেশে অর্থ পাচারসহ ঘুষের বিনিময়ে জিনাত এন্টারপ্রাইজের বিদেশে অর্থ পাচারের কেস ধামাচাপা দিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি। অবৈধভাবে অর্জিত তার জ্ঞাত-আয় বর্হিভূত বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে সঠিক প্রমাণিত হয়েছে।
হলমার্ক ও বিসমিল্লাহসহ ২৪টি বড় ঘটনায় ৯২ হাজার কোটি টাকা মুদ্রা পাচারে নীরব ভূমিকা পালন করেছিল বিএফআইইউ। অথচ অর্থ পাচার ঠেকানোর দায়িত্ব বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ)। ঠেকাতে তো পারেনি, উল্টো বিএফআইইউর সদ্য পদত্যাগ করা প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে উঠেছে অর্থ পাচারে সহায়তা ছাড়াও নানাভাবে ঘুষ নেওয়ার বিস্তর অভিযোগ। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ব্যাংকগুলোকে চাপ দিয়ে প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম, বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় ইভেন্ট আয়োজন ও বিদেশ সফরের মাধ্যমে অর্থ অপব্যয় করার অভিযোগ রয়েছে। গত কয়েক বছর বিএফআইইউর পক্ষ থেকে বছরে গড়ে ৮-১০টির মতো বড় তদন্ত দায়সারাভাবে করে সেসব পক্ষ থেকে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ রয়েছে, ক্যাশ ট্রানজেকশন রিপোর্ট (সিটিআর) বিএফআইইউর পক্ষ থেকে যাচাই করা হয়নি, যার পেছনের খলনায়ক ছিলেন সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।
এমন অনিয়মসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তরুণদের ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে বিদেশি বন্ধুদের সহযোগিতা চান ড. ইউনূস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।