আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছিল। বিয়ের পরেও অভাব পিছু ছাড়েনি। স্বামী দিনমজুর। নিজে অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন।
অভাবের মধ্যেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ডালখোলার শান্তিপাড়ার বাসিন্দা শান্তি পাসোয়ান এবার পৌরসভার ভোটে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থী। তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী; যুব তৃণমূলের শহর সভাপতি রাকেশ সরকার।
শান্তির দুই ছেলে। বড় ছেলে অন্যের দোকানে সহকারী হিসেবে কাজ করছেন। ছোট ছেলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। মেয়ে পড়ে সপ্তম শ্রেণিতে। স্বামী দীনেশ পাসোয়ান দুই বছর ধরে অসুস্থ।
শান্তি কয়েক বছর ধরে বিজেপির কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। এবার বিজেপির প্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়ার পর শান্তি গৃহস্থবাড়ির কাজ থেকে এক মাসের ছুটি নিয়েছেন।
গত বিধানসভা নির্বাচনে শান্তির মতো দুজনকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। একজন পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার কলিতা মাঝি। তিনি আউশগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন। বাড়ি বাড়ি কাজ করতেন কলিতা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনের আগে কলিতার নাম উল্লেখ করে টুইটও করেছিলেন। যদিও কলিতা হেরে গেছেন। এমনই দুঃস্থ পরিবারের চন্দনা বাউড়ি অবশ্য বিজেপির প্রার্থী হিসেবে বাঁকুড়ার শালতোড়া আসনটি থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই দিনমজুর।
শান্তি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পগুলো ভালো লাগে। দল আমাকে লড়াইয়ের জন্য বেছে নেওয়ায় খুশি হয়েছি। ভোটে জিতে গরিবের কষ্ট দূর করতে চাই।
আমার অভিনীত ছবির সঙ্গে কোনো পার্থক্য নেই পুষ্পার : মিঠুন চক্রবর্তী
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যে টাকা পেয়েছিলেন শান্তি, তাতে ঘর সম্পূর্ণ করতে পারেননি। তিনি বলেছেন, টিনের ছাউনি দিয়ে কোনো রকমে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। শৌচাগার ও স্বাস্থ্য সাথি কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলাম। সেটা পাইনি। উজ্জ্বলা গ্যাসের সংযোগ নিলেও মিলছে না ভর্তুকি।
ডালখোলার বিজেপি নেতা জগদীশ কুণ্ডু বলেন, আমাদের দল গরিব মানুষের স্বার্থে লড়াই করে। একজন পরিচারিকাকে প্রার্থী করে দল সেটা বুঝিয়ে দিল।
ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রাকেশ অবশ্য বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। যে কেউ দাঁড়াতে পারেন। তবে তিনি খোঁচা দিয়ে বলেন, শান্তি মোদিকে গরিবের দরদী বলছেন। তা হলে মোদির উজ্জ্বলা গ্যাস তিনি পাচ্ছেন না কেন?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।