বিজ্ঞানীরা এক্সোপ্ল্যানেটের বায়ুমণ্ডল থেকে “টের্বিয়াম” নামে একটি “বিরল ধরণের ধাতু” আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। এসব গ্রহ আমাদের সৌরজগতের বাইরে একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে।
এই অগ্রগতির পেছনে এক্সোপ্ল্যানেট বিশ্লেষণে একটি নতুন পদ্ধতির সহায়িতা নেওয়া হয়েছিল যা বিজ্ঞানীদের এক্সোপ্ল্যানেট এবং তাদের বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে দেয়।
KELT-9 নামের এক্সোপ্ল্যানেটটি মানুষের কাছে সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রহ। এটি পৃথিবী থেকে ৬৭০ আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে। এর তাপমাত্রা প্রায় ৪০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এটি ২০১৬ সালে আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে, এক্সোপ্ল্যানেট KELT-9b বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। Astronomy & Astrophysics জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটি এ নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।
বিরল ধাতুর আবিষ্কার দাবি করে যে, বহিঃগ্রহটির বায়ুমণ্ডলে উপাদানগুলির একটি নির্দিষ্ট মিশ্রণ রয়েছে যা আমাদের সৌরজগতের বিপরীত বৈশিষ্ট্যের কথা স্মরণ করে দেয়।
এ আবিষ্কার সময়ের সাথে সাথে এক্সোপ্ল্যানেটগুলি কীভাবে বিবর্তিত হয় সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়।
সুইডিশ লুন্ড ইউনিভার্সিটিতে অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে পিএইচডি করা নিকোলাস বোরসাটো বলেছেন: “আমরা একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছি যা আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে ।”
এ পদ্ধতি ব্যবহার করে বিরল পদার্থ টার্বিয়াম সহ সাতটি উপাদান আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে যা এর আগে কোনো এক্সোপ্ল্যানেটের বায়ুমণ্ডলে পাওয়া যায়নি।
1843 সালে স্টকহোম দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত Ytterby খনিতে প্রথম সুইডিশ রসায়নবিদ কার্ল গুস্তাফ এটি আবিষ্কার করেন। পর্যায় সারণিতে টের্বিয়াম ল্যান্থানয়েড গ্রুপের অন্তর্গত। এটি প্রকৃতিতে সহজে পাওয়া যায় না।
এক্সোপ্ল্যানেটের বায়ুমণ্ডলে টের্বিয়াম পাওয়া খুবই আশ্চর্যজনক।” বিজ্ঞানীরা তারার উজ্জ্বলতা পরিমাপ করে এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার করেন। পরিমাপ পদ্ধতির সর্বশেষ অগ্রগতির সাহায্যে, গবেষকরা KELT-9 b এর বায়ুমণ্ডলে সংকেতগুলি ফিল্টার করার জন্য একটি নতুন কৌশল তৈরি করেছেন। আমরা বর্তমানে এসব গ্রহগুলিকে যত ভালভাবে জানতে পারব, ভবিষ্যতে আমাদের ‘Earth 2.0’ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।