বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ডাইমের পেছনে ফেসবুকের দুই বা তিন বছর অথবা যতদিনই যাক, এই সময়টা পুরো বিশ্বের মানুষের কাছে বিটকয়েন সহজলভ্য করার কাজে ব্যয় করা যেত। ফলে মেটার মেসেঞ্জার, ইনস্ট্রাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপও লাভবান হতো।
ফেসবুক ইতিমধ্যে মূল প্রতিষ্ঠানের নাম রেখেছে ‘মেটা’। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মেটাভার্স প্রতিষ্ঠানে রূপ লাভ করা। যেহেতু মেটাভার্সে ননফাঞ্জিবল টোকেনের (এনএফটি) গুরুত্ব থাকবে বেশি, তাই মেটাভার্সের মাঝে বেচাকেনা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমেই করতে হবে।
তাই ফেসবুক অনেক দিন ধরেই ‘ডাইম’ নামের নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সির ইকোসিস্টেম তৈরির চেষ্টা করছিল। তবে বিষয়টিকে সময় ও চেষ্টার অপচয় হিসেবে মনে করছেন টুইটারের সাবেক সিইও জ্যাক ডরসি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিটকয়েন ফর করপোরেশনস ২০২২’ এই শিরোনামে হওয়া একটি বিটকয়েন সম্মেলনে টুইটারের সাবেক সিইও জ্যাক ডরসি মাইক্রোস্ট্রাটেজির সিইও মিশেল সেলরের সঙ্গে আলাপ করার সময় বলেন, ফেসবুকের ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রকল্প ‘ডাইম’ প্রকৃত অর্থে সময় ও চেষ্টার অপচয়।
তারা চেষ্টা করছিল ফেসবুকের নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরির জন্য – হয়তো সঠিক কারণেই– হয়তো মহৎ কোনো কারণেই, কিন্তু এখানে আরও অনেক কারণ ছিল যা নির্দেশ করে যে আরও বেশি মানুষকে ফেসবুক তার ইকোসিস্টেমের মধ্যে আনতে চাইছে।
ডরসি বলেন, ডাইমের পেছনে ফেসবুকের দুই বা তিন বছর অথবা যতদিনই যাক, এই সময়টা পুরো বিশ্বের মানুষের কাছে বিটকয়েন সহজলভ্য করার কাজে ব্যয় করা যেত। ফলে মেটার মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপও লাভবান হতো।
রাতারাতি ২৯ বিলিয়ন ডলার হারালেন জাকারবার্গ
ডরসি এমন সময় কথাটি বললেন, যখন ফেডারেল রেগুলেটরের চাপে ডাইমের সম্পদ বেঁচে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ডাইমের সিইও স্টুয়ার্ট লেভি। এক অর্থে দীর্ঘদিনের চেষ্টা ব্যর্থতায় রূপ নিল ফেসবুকের।
সেলর যখন ডরসিকে জিজ্ঞাসা করেন কীভাবে করপোরেশনের সমস্যা সমাধানে বিটকয়েনের ভূমিকা থাকতে পারে। জবাবে ডরসি বলেন, ইন্টারনেটের একটি নেটিভ কারেন্সি ইন্টারনেট কোম্পানি, টেকনোলজি কোম্পানি এবং পৃথিবীর সব মানুষের জন্য সম্ভাবনার অনেক দরজা খুলে দেবে।
ফেসবুকের প্রচেষ্টার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা চেষ্টা করছিল ফেসবুকের নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরির জন্য– হয়তো সঠিক কারণেই– হয়তো মহৎ কোনো কারণেই, কিন্তু এখানে আরও অনেক কারণ ছিল যা নির্দেশ করে যে আরও বেশি মানুষকে ফেসবুক তার ইকোসিস্টেমের মধ্যে আনতে চাইছে।’
তাদের উচিত ছিল এর বদলে বিটকয়েনের মতো ইন্টারনেট দুনিয়া প্রচলিত, উন্মুক্ত প্রটোকলের কারেন্সি নিয়ে কাজ করা।’
উল্লেখ্য জ্যাক ডরসি নিজেই একজন বিটকয়েনের সমর্থক। ২০১৭ সাল থেকেই তিনি বিটকয়েনকে বলে আসছেন ‘কিং কয়েন’। টুইটারের সিইও পদ ছেড়ে দিয়েছেন শুধু বিটকয়েন নিয়ে কাজ করার জন্য। বর্তমানে টুইটারের সিইও হলেন পরাগ আগরাওয়াল।
ডরসি এখন কাজ করছেন ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ে। ইতিমধ্যে তিনি ‘ব্লক’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটি মূলত বিটকয়েন মাইনিং সিস্টেমকে সহজ করার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।