কুকুরের সাথে যদি তুলনা করা হয় তাহলে সংবেদনশীলতা কম থাকার জন্য পোষা বিড়ালের জনপ্রিয়তা বেশি। আপনার পছন্দের পোষা বিড়ালের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের সময় যদি বাঁধার সম্মুখীন হন তাহলে তাদের ভাষায় কথা বলতে না পারার জন্যই এমনটা হচ্ছে বলে ধরে নিবেন।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, পোষা বিড়ালের সাথে সখ্যতা স্থাপন করা খুব কঠিন কাজ নয়। আপনাকে শুধু নিয়মিত হাসির অভ্যাস করতে হবে। মানুষের মত না হেসে বিড়ালের স্টাইল অনুসরণ করলে আরো ভালো ফল পাবেন।
২০২০ সালে পাবলিশ হওয়া এক রিসার্চে বলা হয় যে, চোখের পলক ধীর গতিতে ফেললে বিড়ালের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে সুবিধা হবে। বিড়াল ও মানুষের যোগাযোগ স্থাপনের প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে।
চোখের পলক ফেলার বিষয়টি বেশ কার্যকরী মনে হয়েছে। আমাদের চেহারার অভিব্যক্তির সাথে বিড়ালের অভিব্যক্তি ও হাসির মিল থাকা উচিত। চোখের পলক যদি পারফেক্ট হয় তাহলে আপনার পোষা বিড়াল আপনার প্রতি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাবে।
এতে করে বিড়ালের সাথে আপনার সখ্যতা অর্জন খুবই দ্রুত হবে। গবেষণায় বলা হয় যে, যখন বিড়াল আপনার দিকে তাকাবে তখন ধীর গতিতে চোখের পলক ফেলতে হবে। এতে করে সখ্যতা বৃদ্ধি পাবে।
শুরুতে বিড়ালের সাথে ১ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। এ সময়ে বিড়ালের চোখ ও মানুষের চোখ কেমন তা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে৷ মানুষের চেহারার অভিব্যক্তিকে বিড়াল কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে তা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
বিড়ালের দিকে তাকিয়ে যদি ধীরে ধীরে চোখের পলক ফেলতে পারেন তাহলে সে আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং আস্তে আস্তে আপনার হাতের দিকে এগিয়ে আসবে। শুধু পোষা বিড়াল নয় আপনি এই কৌশল রাস্তার বিড়ালের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।