
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদেশি বিনিয়োগ কমার অশনি সংকেত উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি জরিপ প্রতিবেদনে। মূলত শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ (নিট ইক্যুয়িটি ক্যাপিটাল) কমে যাওয়া এবং ঋণ আকারে আসা বিদেশি বিনিয়োগের (ইন্ট্রা-কোম্পানি লোন) কারণেই আলোচিত ছয় মাসে নিট এফডিআই কমেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে মোট বিদেশি বিনিয়োগ আসে ২৩০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার, যা থেকে ফেরত যায় ৬১ কোটি ২৯ লাখ ডলার। এতে নিট এফডিআই দাঁড়ায় ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার।
জানা গেছে, চলতি ২০১৯ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) ২৩ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, আলোচিত ছয় মাসে দেশে নিট এফডিআই এসেছে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ইউএস ডলার, এর আগের ছয় মাসের তুলনায় যা ৫০ কোটি ৫৬ লাখ ডলার কম। ২০১৮ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে নিট এফডিআই প্রবাহ ছিল ২১৯ কোটি ৭৩ লাখ ডলার।
এর বাইরে পুনর্বিনিয়োগ (রিইনভেস্টমেন্ট) কমেছে দুই কোটি ডলার বা তিন শতাংশ। বিদেশি কোম্পানির মুনাফা থেকে পুনরায় বিনিয়োগকেই রিইনভেস্টমেন্ট বলা হয়ে থাকে। চলতি বছর জানুয়ারি-জুন সময়ে পুনর্বিনিয়োগ এসেছিল ৬৭ কোটি ১৩ লাখ ডলার। আগের ছয় মাসে পুনর্বিনিয়োগ এসেছিল ৬৯ কোটি ২১ লাখ ডলার।
খাতভিত্তিক বিদেশি বিনিয়োগের তথ্যে দেখা যায়, আলোচিত সময়ে বিদ্যুৎ খাতে নিট এফডিআই বেড়েছে প্রায় ৪১ শতাংশ। তবে খাদ্য খাতে নিট এফডিআই কমেছে ৭১ শতাংশ কমেছে। ব্যাংক খাতে নিট এফডিআই কমেছে ১৭ শতাংশ, বস্ত্র ও পোশাক খাতে নিট এফডিআই কমেছে ৫৯ শতাংশ, টেলিকম খাতে নিট এফডিআই কমেছে ৬১ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছর ফোর-জি লাইসেন্স দেওয়ার পর এ খাতে বিনিয়োগ করেছিল বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটররা। তবে এ বছর সে ধরনের বড় বিনিয়োগ হয়নি। উল্টো নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে বড় দুই অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটার টানাপড়েনে বিনিয়োগ কমে গেছে। আর পোশাক খাতে নতুন বিনিয়োগ আসছে না। বরং অনেক কোম্পানি এখন ভিয়েতনামের দিকে ঝুঁকছে। এতে বাংলাদেশ বাজার হারাচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।