আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তান থেকে ত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে মার্কিন সেন্য। এরই মধ্যে সেখান থেকে প্রায় ৯০ শতাংশ সেনা সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে ন্যাটোর বাহিনীও আর নেই। এই অবস্থায় আফগানিস্তানজুড়ে আক্রমণ জোরদার করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান।
ইতোমধ্যেই অনেকগুলো জেলার দখল নিয়ে নিয়েছে তারা। সদ্য দখল করা এসব অঞ্চলে ব্যাপক লুটতরাজ চালাচ্ছে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্যরা।
কোথাও কোথাও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে। ভয়ে-আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছে স্থানীয় অধিবাসীরা। এমনটাই দাবি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। খবর এএফপি’র।
চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব বিদেশি সেনার আফগানিস্তান ছাড়ার কথা রয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, সেনা প্রত্যাহারের আগেই তালেবান দেশটির এক তৃতীয়াংশ এলাকা দখল করে নিয়েছে। পুরোপুরি প্রত্যাহার হলে তারা আবার ক্ষমতা দখল করতে পারে বলে জোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও আফগান সরকার দাবি করে আসছে, সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী তালেবান দমনে সক্ষম। তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। তালেবানের বিপক্ষে লড়তে আফগান বাহিনী হিমশিম খাচ্ছে। তালেবানের হামলার মুখে দেশ ছেড়ে আফগান বাহিনীর পালানোর ঘটনাও ঘটেছে।
এর আগে গত মাসের (জুন) শেষের দিকে উত্তরাঞ্চলের কুনদুজ প্রদেশে হামলা করে তালেবান। এ সময় বহু সাধারণ নাগরিককে তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে এর যোদ্ধারা। সেইসঙ্গে চালায় লুটপাট। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, কুনদুজ প্রদেশের বাগ-ই শেরকাতের বাসিন্দা অভিযোগ করেছে, হামলার আগে লাউডস্পিকারে ঘোষণা দিয়ে অধিবাসীদের দুই ঘণ্টার মধ্যে ঘরবাড়ি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় তালেবান যোদ্ধারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।