জুমবাংলা ডেস্ক: চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার লাল মাটির পাহাড়ি এলাকায় লটকনের ফলন কম হয়েছে। ফলন কম হলেও দ্বিগুন দামে খুশি চাষি। তাছাড়া এ এলাকার লটকন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহের পাশাপাশি রফতানি হচ্ছে বিদেশেও।
উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়নে লটকন চাষ করা হয়েছে। উপজেলায় ১৪৫০ হেক্টর জমিতে লটকন চাষ হয়েছে। তাছাড়া ছোট বড় মিলে প্রায় ৩ হাজার লটকন বাগান রয়েছে এ উপজেলায়।
চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১০ থেকে ১৫ বছর আগেও লটকনের তেমন চাহিদা ছিল না। সেজন্য কেউ লটকনের আলাদা বাগান করার চিন্তা করত না। বর্তমানে টক, মিষ্টি, সুস্বাধু এ ফলের চাহিদা ও মূল্য দুটিই বেড়েছে। এমনকি অন্যান্য ফল চাষের তুলনায় লটকনের ফলন বেশি হওয়ায় পাশাপাশি চাষিরাও লাভবান হচ্ছে।
উপজেলার চৈতন্যা গ্রামের লটকন চাষি ইমাম উদ্দিন সরকার বলেন, আমার ৩০০ শতাংশ জমিতে লটকন বাগান রয়েছে। গত বছর ভালো ফলন হয়েছিল যার ফলে ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকা বিক্রি করেছিলাম। এবার ফলন কিছুটা কম হয়েছে। যেহেতু ফলন কম, আশা করি দ্বিগুন দাম পাব।
পাইকারি ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া বলেন, এ এলাকার লটকনের চাহিদা রয়েছে সারাদেশে। তাছাড়া বর্তমান বাজারে গুণগত মান ভেদে লটকন মণপ্রতি পাইকারি দরে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় কিনছি। এখান থেকে লটকন সংগ্রহ করে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিন সাদেক বলেন, এখানকার লটকন দেশের বাইরেও রফতানি হয়ে থাকে। গত বছর ২থেকে ৩ টন লটকন দেশের বাইরে রফতানি হয়েছে। এবার আরো বেশি চাহিদা রয়েছে।
শিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিনিয়া জিন্নাত বলেন, লটকন উৎপাদনে শিবপুরের মাটি খুবই উপযোগী। লটকন চাষে পরিশ্রম ও খরচ দুটোই কম। কৃষকরা লটকন চাষ করে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।
সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।