আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ভয়ংকর শীতকালীন ঝড় আঘাত হানছে। সেই কারণে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার ১০ লাখের বেশি মানুষ বড়দিন কাটাচ্ছে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায়।
এই ঝড় এখন একটি সাইক্লোন বোমায় রূপ নিয়েছে। যখন বায়ুমণ্ডলের চাপ কমে যায়, তখন এ রকম ঝড় তৈরি হয়।
সাইক্লোন বোমার প্রভাবে প্রচণ্ড তুষারপাত ও তীব্র ঝোড়ো বাতাস বইতে থাকে। হিমাংকের নিচে নেমে যায় তাপমাত্রা।
উত্তর আমেরিকার প্রায় ২৫ কোটি মানুষ এখন এই ঝড়ের কবলে পড়েছে। এ পর্যন্ত এতে অন্তত ১৯ জন মারা গেছে। কানাডার কুইবেক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার মাইল বিস্তৃত এলাকায় এখন এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া চলছে।
এই ঝড়ের কারণে বড়দিনের উৎসবের সময় হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। সবচেয়ে তীব্র শীত পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা অঙ্গরাজ্যে, সেখানে তাপমাত্রা নেমে গেছে হিমাংকের ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।
মিনেসোটা, আইওয়া, উইসকনসিন এবং মিশিগানে সব কিছু সাদা তুষারে ঢাকা পড়ে গেছে। নিউ ইয়র্ক রাজ্যের বাফেলো শহরে এত বেশি তুষারপাত হচ্ছে যে সেখানে প্রায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
অন্যদিকে উত্তর-পশ্চিমের প্যাসিফিক উপকূলে সিয়াটল আর পোর্টল্যান্ডের মতো শহরে রাস্তায় লোকজন বরফের ওপর স্কেটিং করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্ব উপকূলের নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলের উপকূলে বন্যা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহও বিঘ্নিত হচ্ছে। এমনকি দক্ষিণাঞ্চলের ফ্লোরিডা বা জর্জিয়ার মতো যেসব রাজ্যে সাধারণত আবহাওয়া অত চরমভাবাপন্ন নয়, সেখানেও বরফ-জমা শীত পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটিমাত্র অঞ্চল ক্যালিফোর্নিয়া এই তীব্র শীত থেকে রেহাই পেয়েছে। মহাদেশীয় পর্বতমালা এই রাজ্যটিকে তীব্র শীত থেকে রক্ষা করেছে।
কানাডায় এই আর্কটিক ঝড়ের দাপট সবচেয়ে বেশি যাচ্ছে অন্টারিও এবং কুইবেক প্রদেশের ওপর। ব্রিটিশ কলাম্বিয়া থেকে শুরু করে নিউ ফাউন্ডল্যান্ড পর্যন্ত কানাডার বাকি অংশও তীব্র শীত এবং ঝড়ের মোকাবেলা করছে।
ঝড়ে মৃত্যুর বেশির ভাগ ঘটনা ঘটেছে রাস্তায় গাড়ি দুর্ঘটনার কারণে। ওহাইওতে একটি দুর্ঘটনায় ৫০টি গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখানে চারজন মারাও গেছে। রাজ্যে আরো কয়েকটি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে আরো চারজন।
সূত্র : বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।