স্পোর্টস ডেস্ক : আগামী ৩০ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে বিপিএলের ১১তম আসর। ইতোমধ্যে টুর্নামেন্টের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগের ১০ সংস্করণের চেয়ে এবার ভিন্ন কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছে বিসিবি। দর্শকদের জন্য থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোচ্ছে আয়োজক কমিটি।
বিপিএলের আগের আসরগুলোতে সম্প্রচার, আম্পায়ারিং, ডিআরএস, মাঠের অবকাঠামো নিয়ে বিভিন্ন সময় অসন্তোষ শোনা গেছে। এবার তেমনটা হবে না বলে আশা করছেন নতুন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিসিবির প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় বিপিএলের নতুনত্ব নিয়ে ফারুক বলেন, বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আমরা নতুন একটা সরকার পেয়েছি। আমরা চেষ্টা করেছি, এর আগে যে ১০টা বিপিএল এসেছে, সেসবের চেয়ে আলাদা করার জন্য। অনেক পরিকল্পনা করেছি। আশা করি, খুব ভালো টুর্নামেন্ট হবে। আমার মনে হয়, সেটা সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারবে, আপনারা সবাই বিপিএল উপভোগ করবেন।
বিপিএলের লিগ পর্বের টিকিট পাওয়ার গেলেও নকআউট পর্বে টিকিট কালো বাজারিতে শিকার হন দর্শকরা। এ ছাড়াও মাঠে ভিতরে পানিসহ সকল পণ্যের বাড়তি দামের চাপ তো আছেই। তবে এবার দর্শকদের সুবিধার জন্য বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি। তার মধ্যে অন্যতম হলো অনলাইন টিকিট।
এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, এবার আমরা চেষ্টা করছি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার জন্য। যেন সবাই সবার সুবিধা মতো টিকিট কিনে খেলা উপভোগ করতে পারেন। যারা খেলা দেখতে ইচ্ছুক, মোবাইল ফোন এবং অনেক অ্যাপস দিয়ে আপনারা ডিজিটাল টিকিটগুলো কিনে ফেলতে পারবেন। ওই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, আমাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এই মাসের মধ্যে হয়ে যাবে।
এ ছাড়াও স্টেডিয়ামে দর্শকদের সুবিধা নিয়ে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, গ্যালারি যেন নোংরা না হয়, পানির কিছু কর্নার থাকবে। সেই কর্নারে আপনারা পানি পাবেন। এটার একটা নাম থাকবে, বিপিএল শুরু হলে দেখতে পাবেন। পানিটা আমরা বিনা মূল্যে দেওয়ার চেষ্টা করব। স্টেডিয়ামের ভেতরেও আমরা চেষ্টা করছি জিরো ওয়েস্ট জোন গ্যালারি রাখতে। চেষ্টা করব সবকিছু পরিষ্কার রাখতে।
বিপিএলের আরেক সমস্যার নাম আম্পায়ারিং, সেই সঙ্গে সম্প্রচার ও ডিআরএস ইস্যুতো আছেই। প্রায় প্রতিটি আসরেই আম্পায়ারের বাজে সিদ্ধান্তের কারণে ক্রিকেটারদের বিতর্কে জড়াতে দেখা যায়। তবে এবার ভিন্ন কিছু করা জন্য আশাবাদী বিসিবি।
ফারুকের ভাষ্য, ডিজিটাল রাইটস যাদের আছে, আমরা তাদের বলেছি, ডিজিটাল পেরিমিটার বোর্ড চাই আমরা। টিভি প্রোডাকশনকে বলেছি, টিভিতে যারা খেলা দেখাবেন এবং প্রোডাকশন—দুটোই যেন অত্যন্ত চমৎকার হয়। হক-আই, ডিআরএস—এগুলো সবই থাকবে। আম্পায়ারিং আমরা খুব উন্নত করার চেষ্টা করছি। বিদেশি আম্পায়ার থাকবে।
বিপিএলের এবারের আসরের পরামর্শক হিসেবে রয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সদ্য শেষ হওয়ার প্যারিস অলিম্পিকের রোড ম্যাপও তৈরি করেছিলেন তিনি। তাই তার নেতৃত্বেই বিপিএলকে নতুনভাবে সাজাতে চায় বিসিবি।
এই প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, আপনারা সবাই জানেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফ্রান্সে এবার আমরা যে অলিম্পিক দেখলাম, ২০১৪ বা ২০১৬ সালে এক বক্তব্যে অলিম্পিকটি পেতে সাহায্য করেছিলেন। উনি এত বড় বড় জায়গায় কাজ করেছেন, তাই আমাদের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তাকে অনুরোধ করেছেন; বিপিএলকে আরও ভালোভাবে আয়োজন করা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।