বিমান খাতে স্বচ্ছতা আনতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পরামর্শ

Aviation Authority

বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বিরুদ্ধে লোপাট ও অর্থ অপচয়ের অভিযোগ ওঠেছে। দরকার না থাকা সত্ত্বেও কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণে করে তারা। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার সময় অপ্রয়োজনীয় এমন প্রকল্প বাতিলের কথা বলা হয়েছিলো। কিন্তু কোন কার্যকর উদ্যেগ দেখা যায়নি।

Aviation Authority

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, রাষ্ট্রের টাকা অপচয় হলে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রধান কার্যালয়ের নিচ তলায় মসজিদ নির্মাণের কথা ছিলো। কিন্তু মূল জিজাইনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বিমানের আদলে একটি জাদুঘর নির্মাণ করা হচ্ছিলো সেখানে। মসজিদ নির্মাণে ব্যয় হওয়ার কথা ছিলো ২০ কোটি টাকা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে সে জাদুঘর নির্মাণও থেমে আছে। দুদকের হাতে বিভিন্ন প্রকল্পে বড় অঙ্কের টাকা এদিক-সেদিক করার ডকুমেন্ট রয়েছে।

বেবিচক বলছে, ঢাকা কাস্টম হাউজসহ আশপাশে ৭টি মসজিদ থাকায় নতুন করে আলাদা মসজিদ নির্মাণসহ অন্য প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা না থাকায় এমন তিনশো কোটি টাকার কার্যক্রম বন্ধ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, অপারেশনাল দিকে যত বেশি কাজ করা যায়, সেদিকে নজর দেয়া হচ্ছে। যার মাধ্যমে রাজস্ব বাড়বে। যা অবদান রাখবে দেশের অর্থনীতিতে।

 
লুটপাটে জড়িত বেবিচক ও বিমান মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা দরকার বলে মন করছেন বিশেষজ্ঞরা। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতি-অনিয়মগুলো খতিয়ে দেখা দরকার।
প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। এদিকে, উন্নয়নের নামে সাধারণ মানুষের দেয়া অর্থ কোনোভাবেই লোপাটের সুযোগ দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে সিভিল এভিয়েশন।