আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়া ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনে ৩৪ বার বিমান হামলা করেছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি বলেন, চাসিভ ইয়ার শহরের একটি ভবনে রাশিয়ার যে রকেট হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন, সেটিসহ ২৪ ঘণ্টায় তারা ৩৪টি রকেট হামলা চালিয়েছে। এখনও ইউক্রেনে অনবরত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের অফিসের প্রধান বলেছেন, চ্যাসিভ ইয়ারে রাশিয়ার হামলা সন্ত্রাসবাদী কাজ। রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদী দেশের তালিকায় রাখার অনুরোধ করেছেন তিনি।
কৃষ্ণসাগরের বন্দর শহর মিকোলাইভে সোমবার ভোরে অন্তত নয়টি বিস্ফোরণ হয়েছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক উইলসন ওই শহরে আছেন। তিনি জানিয়েছেন, শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আওয়াজ পেয়েছেন তিনি।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়ার অধিকারে থাকা দক্ষিণের শহর খেরসন থেকে যেন বেসামরিক মানুষ চলে যান। কারণ, ইউক্রেনের সেনা সেই শহরে পাাল্টা আক্রমণ শানানোর পরিকল্পনা করেছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলি তাদের যে হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম(হিমরাস) দিচ্ছে, তাতে যুদ্ধক্ষেত্রে বিপুল পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনকে আরো চারটি হিমরাস দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ফলে ইউক্রেনের হাতে ১২টি হিমরাস থাকবে। এছাড়াও অ্যামেরিকা তাদের প্রচুর গোলাবারুদ সরবরাহ করছে।
এই পশ্চিমা অস্ত্রের সাহায্যেই দক্ষিণের শহরগুলি রাশিয়ার হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছে ইউক্রেন। যুক্তরাজ্যের একটি সংবাদপত্রকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সমুদ্রতীরবর্তী শহরগুলিকে অধিকার করার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশের অর্থনীতির পক্ষে এই শহরগুলি অধিকার করাটা জরুরি।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, তিনি বন্ধু দেশের জেনারেল ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের কাছে চিঠি লিখে জানাচ্ছেন, কেন ওই শহরগুলি তাদের দখল করাটা দরকার। তাই তিনি প্রয়োজনাীয় অস্ত্রশস্ত্র চেয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, ‘যেভাবে যুদ্ধ হচ্ছে, তাতে সোভিয়েত আমলের অস্ত্রসম্ভার দ্রুত শেষ হয়ে আসছে। আমাদের হাতে তিরিশ বছর আগেকার অস্ত্রশস্ত্র ছিল। গত তিন মাসে আমরা নতুন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়েছি।’
(এপি, আল জাজিরা, এএফপি ও রয়টার্স)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।