ডাকসুর গবেষণা ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক সানজিদা আহমেদ তন্বী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি বিয়ের খবর জানান। তার স্বামী জিহাদ আবদুল্লাহ পেশায় একজন সাংবাদিক।

পোস্টে তন্বী লেখেন, কিছু কিছু বন্ধন এত সহজভাবে তৈরি হয় যে মনে হয় সবটাই যেন আগে থেকে ঠিক করা ছিল। আমাদের প্রথম আড্ডাটার কথা আজও পরিষ্কার মনে পড়ে—বন্ধুদের বোকা বানানোর জন্য সেই অদ্ভুত মজা নিয়ে আমাদের হাসাহাসি, মুহূর্তটার হঠাৎ ওলটপালট হয়ে যাওয়া, একদম ছোট ছোট জিনিসে আমাদের দুজনের একইরকম আনন্দ খুঁজে পাওয়া, আর আমার ভেতরকার ছটফটে রোমাঞ্চপ্রিয় সত্তাটাকে তোমার অবলীলায় আপন করে নেওয়া। সেই সাধারণ মুহূর্তগুলোতেই কখন যে মনের অজান্তে এমন সব স্মৃতি জমিয়ে ফেলেছিলাম, যা আমি বারবার ফিরে দেখতে চাইব।
বরের উদ্দেশে তন্বী লেখেন, ঠিক কোন মুহূর্তে আমি তোমার প্রেমে পড়েছিলাম, সেটা আমার মনে নেই।
কিন্তু ঠিক কোন মুহূর্তে আমি বুঝেছিলাম যে তুমিই আমার সেই কাঙ্ক্ষিত মানুষ, তা আমার স্পষ্ট মনে আছে। সেই যে ‘উড়তে পারিন্দে’… মনে পড়ে?
‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তুমি তোমার ভালোবাসাকে সবচেয়ে নিখাদভাবে প্রমাণ করেছ। আজ আমি হৃদয়ের গভীর থেকে জানি যে, পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, তুমি পাশে থাকবেই। যখন আমি ভয় পাব, যখন সব কিছু ভুল পথে যাবে কিংবা যখন পৃথিবীটা বড্ড ভারী মনে হবে—আমি জানি তুমি শুধু একটি ফোনের দূরত্বে আছো।
এই অনুভূতিটা যে কত বড় প্রশান্তির, আমি যে একা নই এই বিশ্বাসটা যে কতটা শক্তির—তা আমি কখনোই পুরোপুরি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’
তিনি আরো লেখেন, আর আজ আমরা আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপটি নিলাম। আমি তোমাকে একটিমাত্র কথা দিতে চাই, যা খুব সাধারণ কিন্তু আমার জীবনের সবচেয়ে গভীর প্রতিশ্রুতি: আমার জীবনের বাকিটা সময়, প্রতিটি দিন, আমি শুধু তোমাকেই বেছে নেব। বারবার, হাজারবার।
গত বছরের ১৫ জুলাই বিকেলে ছাত্রলীগের হামলায় আহত হন সানজিদা আহমেদ তন্বী। তার রক্তে মাখা ভীত মুখটি ভাইরাল হয় এবং আন্দোলন বেগবান করতে ছবিটি ব্যাপক অনুপ্রেরণা জোগায়।
এর আগে বিয়ে করেছেন ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এসএম ফরহাদ ও সহ-সাধারণ (এজিএস) সম্পাদক মহিউদ্দীন খান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



