উইলিয়ামকে বিয়ের আগে সন্তানধারণের ক্ষমতার প্রমাণ দিতে হয়েছিলো কেট মিডলটনকে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটিশ সিংহাসনের বর্তমান উত্তরাধিকারী প্রিন্স উইলিয়ামকে বিয়ের আগে প্রিন্সেস অফ ওয়েলস কেট মিডলটনকে উর্বরতা পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। একটি নতুন বইতে এই খবর প্রকাশ পেয়েছে। যার জেরে আরো একবার মুখ পুড়লো ব্রিটিশ রাজপরিবারের। টম কুইনের লেখা গিল্ডেড ইয়ুথ: অ্যান ইনটিমেট হিস্ট্রি অফ গ্রোয়িং আপ ইন দ্য রয়্যাল ফ্যামিলি শিরোনামের একটি নতুন বই অনুসারে, উইলিয়ামের সাথে মিডলটনের বিয়ে অনুমোদিত হয়েছিলো কয়েকটি শর্তের বিনিময়ে। উইলিয়ামের মতো একজন ভবিষ্যত রাজার পক্ষে মধ্যবিত্ত ঘরের এক সাধারণ মেয়েকে বিয়ে করা কোনো স্বাভাবিক ঘটনা ছিল না।
প্রিন্সেস ডায়ানাও বলে গেছেন, বর্তমান রাজা তৃতীয় চার্লসকে বিয়ের আগে তাকেও একই রকম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়েছিল। ভবিষ্যতের রানী সন্তান ধারণ করতে সক্ষম কি-না তা নিশ্চিত করার জন্য এই পরীক্ষা সর্বদা করা হয়। কুইনের মতে, কেট যদি সন্তান ধারণে সক্ষম না হতেন তাহলে বিয়েটা যে বন্ধ হয়ে যেত তাতে সন্দেহ নেই। কুইন তাঁর বইতে আরো জানিয়েছেন যে প্রিন্সেস ডায়ানা জানতেন না যে তিনি যে পরীক্ষাগুলি দিয়েছেন তা সন্তানধারণের পরীক্ষা। তিনি ভেবেছিলেন যে এটা শুধু তার মেডিকেল চেকআপ।
পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। উইলিয়াম এবং কেট লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে ২০১১ সালের ২৯এপ্রিল, একটি জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিয়ে করেন। বিবাহ অনুষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী সম্প্রচার করা হয়েছিল। আনুমানিক ২ বিলিয়ন মানুষ সরাসরি সম্প্রচার দেখেছিলেন। সারাহ বার্টনের ডিজাইন করা কেটের পোশাকটি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। বিয়েতে রাজপরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রপ্রধান এবং সেলিব্রিটি সহ অনেক হাই-প্রোফাইল অতিথি উপস্থিত ছিলেন। উইলিয়াম কেটকে তার মা প্রিন্সেস ডায়ানার একটি আংটি পরিয়ে দেন।অনুষ্ঠানের পরে, নবদম্পতি একটি শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে গিয়ে বাকিংহাম প্যালেসে পা রাখেন। পরে তারা সেশেলে তাদের হানিমুনে রওনা হন।
কেট এবং উইলিয়ামের বিবাহকে রাজপরিবারের মধ্যে পরিবর্তনের প্রতীক হিসাবে দেখা হয়েছিল, কারণ কেট এমন এক পরিবার থেকে এসে রাজপরিবারের বধূ হয়েছিলেন যা রাজপরিবারের ৩৫০ বছরের ইতিহাসে কখনো ঘটেনি। এই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে: প্রিন্স জর্জ, প্রিন্সেস শার্লট এবং প্রিন্স লুই।
সূত্র : wionews.com
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।