মিস ইন্ডিয়ার খেতাব জিতে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন বলিউড অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া। ভালো উচ্চতা, সুন্দর চেহারা, প্রতিভা থাকার পরেও ক্যারিয়ারে বড় কোনো সাফল্যের দেখা পাননি তিনি।
সেনা পরিবারে জন্ম নেওয়া ৪৪ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কম চর্চা নেই। একাধিক সম্পর্ক, বিচ্ছেদ, বিয়ের আগেই গর্ভবতী হওয়া- নানা কারণে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন তিনি।
চলচ্চিত্রে নয়, বাস্তব জীবনেও কোনও মেয়ের বিয়ের আগে গর্ভবতী হওয়া ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারে না পরিবার, সমাজ। নেহার সঙ্গেও ঠিক এমন কিছুই ঘটেছে। বিয়ের আগেই গর্ভধারণ করেন এই অভিনেত্রী। যেটা জানতে পেরে অবাক হন পরিবারের সদস্যরা। স্পষ্ট ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন নায়িকাকে। জানিয়ে দেন, এই সময়ের মধ্যেই বিয়ে করতে হবে তাকে।
পরিবারের এমন আল্টিমেটামের পর বন্ধুকে বিয়ে করে থিতু হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নেহা। সিনেমাটিক এমন ঘটনাই নাকি ঘটেছে অভিনেত্রীর জীবনে।
১৯৮০ সালের ২৭ অগাস্ট কেরালার কোচিতে একটি সেনা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন নেহা ধুপিয়া। তার বাবা প্রদীপ সিং ধুপিয়া ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন অফিসার ছিলেন।
সেনা পরিবারের মেয়ে হয়েও পড়ালেখার পাশাপাশি মডেলিংয়ের জগতে প্রবেশ করেন এই তারকা। সেখান থেকে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।
২০০৩ সালে ‘কেয়ামত: সিটি আন্ডার থ্রেট’ সিনেমা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন নেহা। এরপর ২০০৪ সালের ‘জুলি’ ছবি দিয়ে পরিচিত পান।
বর্তমানে অঙ্গদ বেদির সঙ্গে এই নায়িকার সুখী সংসার। ২০১৮ সালে গোপনে অঙ্গদ বেদীকে বিয়ে করেন এই নায়িকা। একই বছরে তাদের মেয়ে মেহরেরও জন্ম হয়। প্রথম সন্তান জন্মের আগেই জানা যায়, গর্ভাবস্থার কারণে অঙ্গদ বেদীকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নেহা।
একটি সাক্ষাৎকারে বিয়ের আগে গর্ভবতী হওয়ার কথা জানিয়েছেন এই নায়িকা। নেহা বলেছিলেন- ‘কোনও প্রস্তুতি ছাড়াই আমাদের বিয়ে হয়েছে।’
অভিনেত্রীর কথায়, ‘বিয়ের আগেই আমি গর্ভবতী হয়ে যাই। যখন বিষয়টি জানতে পারি, আমি আমার বাবা-মাকে জানাই। তারা আমাকে বিয়ের জন্য ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেয়। এরপর মুম্বাইয়ে গিয়ে অঙ্গদকে বিয়ে করি।’
আমাকে নিয়ে কি তোমার কোনও সমস্যা রয়েছে?, কঙ্গনাকে প্রশ্ন অক্ষয়ের
বিয়ের পরপরই গর্ভধারণের খবর প্রকাশ্যে আনেন নেহা। মে মাসে এই জুটির বিয়ের পর নভেম্বরেই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন এই নায়িকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।