জুমবাংলা ডেস্ক : ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান বিজয়ের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে শিমরান সাদিয়া নামে ঢাকার এক তরুণী হাজির হয়েছেন। ওই তরুণী একজন টিকটকার হিসেবে পরিচিত।
রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। একইদিন সন্ধ্যায় সংগঠন বর্হিভূত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে বিজয়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ।
এর আগে দুপুরে ওই তরুণী আরও এক মেয়েসহ চরচান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদে যান। সেখানে চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সহযোগিতা চান।
এ সময় ওই তরুণী নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেন। পরে তার কথা মতো ইউপি চেয়ারম্যান ৪ জন গ্রাম পুলিশ সদস্যের সঙ্গে তাকে ইউনিয়নের ওলামা বাজার এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা বিজয়ের বাড়িতে পাঠান।
গ্রাম পুলিশ সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা বিজয়ের বাড়ি পৌঁছালে দরজার সামনে সে আমাদের অপেক্ষা করতে বলে তরুণী ও তার সঙ্গে থাকা মেয়েকে ঘরে নিয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় মানুষ ও সাংবাদিক বিজয়ের বাড়ি গেলে সে তরুণীর সঙ্গে কথা শেষ করে সাংবাদিকদের সঙ্গে বসে কথা বলবে বলে জানায়। কিন্তু অপেক্ষার এক ঘণ্টার পর খোঁজ নিয়ে জানতে পারি বিজয় তাদের নিয়ে বাড়ির পেছনের দিক দিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে গেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলন বলেন, দুপুরের দিকে এক তরুণী সঙ্গে আরও একজন মেয়েকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে এসে ছাত্রলীগ সভাপতি বিজয়ের সাথে সম্পর্কের কথা বলেন। তখন তারা বিজয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা চান। আমি গ্রাম পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে তাদের বিজয়ের বাড়ি পাঠিয়েছি। গ্রাম পুলিশ সদস্যরা বাইরে অবস্থানকালে বিজয় তাদের নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি।
তিনি জানান, রাত ১০টার দিকে ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তখন বিজয় তাদের ফেনী শহরের মহিপাল এলাকায় জিম্মি করে রেখেছে বলে জানিয়েছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সাইমুন বলেন, তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান রাসেল এবং সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সাইমুন স্বাক্ষরিত পত্রে ৩ দিনের মধ্যে বিজয়কে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বিজয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় বলেন, ঘটনাটি বিভিন্ন মাধ্যমে অবগত হয়েছি। তবে থানায় এখনও কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।