লাইফস্টাইল ডেস্ক : হাজারটা রীতি মেনেই বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হয়। আমাদের দেশে তো বটেই সামাজিক এই উৎসব নিয়ে পুরো বিশ্বেই আছে নানান সংস্কৃতি। হলুদ, মেহেদি, বিয়ে, বৌভাত কত আয়োজন এক বিয়েকে কেন্দ্র করে। আত্মীয়-স্বজনে বাড়ি গমগম করে বাঙালি বিয়েতে।
বিয়ে সবার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। শুধু বর কনেই নয় দুটি পরিবারের মিল বন্ধনের মাধ্যম বিয়ে। তবে এই দিনটিকে নিয়ে বিশ্বের নানা দেশে রয়েছে নানান রীতিনীতি, যা নতুন দম্পতির জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনবে বলেই মনে করেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে এর বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি কোথাও নেই।
এমনই কয়েকটি দেশে বিয়ের দিন কনেকে অপহরণ করার বিচিত্র রীতি প্রচলিত আছে। চলুন জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন ‘বিয়ে-শাদি’-তে আজ জেনে নেওয়া যাক সেই দেশগুলো সম্পর্কে-
রোমানিয়া
রোমানিয়াতে বিয়ের আগে অতিথিরা কনেকে অপহরণ করেন। এরপর তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং বরের কাছ মুক্তিপণ দাবি করে। এই মুক্তিপণে থাকে বিশেষ অনুরোধ। কয়েক বোতল অ্যালকোহল অথবা সবার সামনে বরকে প্রেমের গান গাইতে হবে এমন কিছু।
কাজাখস্তান
কাজাখস্তানে বিয়ের উদ্দেশ্যে একজন নারীকে অপহরণ করার একটি প্রথা। এটি খুবই উন্মাদ প্রকৃতির একটি নিয়ম যেটি বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। এটি ব্রাইড কিডন্যাপিং নামেই বেশি পরিচিত। ব্রাইড কিডন্যাপিং এ কনেকে বাধ্য করানো হয় বিয়ে করার জন্য। রাস্তায় চলাফেরারত অবস্থায় পূর্বে ঠিক করা মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাকে কোনো একটি জায়গায় বা নির্দিষ্ট কক্ষে ততক্ষণ আটকে রাখা হয় যতক্ষণ না বরের পরিবার হতে কেউ এসে কনেকে স্কার্ফ পড়িয়ে বিবাহকার্য সম্পন্ন না করে।
ইন্দোনেশিয়া
এদেশে বিয়ের বিভিন্ন রীতির মধ্যে এটি একটি। ইন্দোনেশিয়ানরা তাদের বিয়ের আগে কনেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এই প্রথা সেখানে কাউইন লরি নামে পরিচিত। এটি একটি বিরল প্রথা। বর এবং কনের উভয়ের বাবা-মা তাদের একে অপরের সঙ্গে বিয়ে করার অনুমতি না দিলেও তারা বিয়ে করতে পারে। পালিয়ে বিয়ে করা বা কনেকে অপহরণ করে বিয়ে করা এদেশে একটি প্রথার মধ্যেই পরে। তবে সেই বিয়েতে অবশ্যই কনের সম্মতি থাকতে হবে। না হলে বরকে জেলে কাটাতে হতে পারে বাকি জীবন।
সূত্র: ব্রাইডস ডটকম/ ইন্দোনেশিয়া ট্রাভেলস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।