লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের আত্মার সম্পর্ক। শৈশবে তাদের ওপরেই সবচেয়ে বেশি ভরসা করি আমরা। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবার একটা নিজস্ব মতামত তৈরি হয়। তখন বাবা-মায়ের সঙ্গে মতবিরোধ হলেও সম্পর্কের বাঁধন আলগা হয় না।
ছেলেরা বিয়ের পর বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকলেও বিয়ের পর মেয়েরা চলে যায় অন্য পরিবারে। সেখানে তাদের নিজেদের একটা পরিবার তৈরি হয়। মেয়ের বিয়ে হওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই বাবা-মায়ের সঙ্গে একটু দূরত্ব তৈরি হয়। তখন মেয়ের ছোট ছোট কিছু কাজ অজান্তেই আঘাত করে বাবাকে। তখন নীরবেই মেয়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে দেন তিনি।
জেনে নিন মেয়ের কোন ভুলগুলো বাবার সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়িয়ে দেয়।
বাবাকে ফোন না করা:
বিয়ের পর মেয়েরা সারাদিনে একবার হলেও মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে। কিন্তু বাবাকে আলাদা করে ফোন করার কথা আমাদের মাথায়ই আসে না। আর তাতেই বাবার মনে অভিমানের মেঘ জমে। তিনি মনে মনে দুঃখও পান। তবে সেই কথা বাবা কখনও সন্তানকে জানান না, বুঝতেও দেন না। এভাবে বাবার সঙ্গে একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়।
বিশেষ কোনো দিন মনে না রাখা:
বিয়ের আগে সন্তানেরা বাবার জন্মদিন কিংবা বাবা-মায়ের বিবাহ বার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানায়। ছোট করে হলেও একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কিন্তু বিয়ের পর সন্তানের বিশেষ করে মেয়েদের দায়িত্ব বেড়ে যায়। তাই সব কিছু সামলে উঠে বাবা-মায়ের সঙ্গে জড়িত বিশেষ দিনগুলো হয়তো অনেকেই ভুলে যান।
তখন বাবা-মায়েরও সারাদিন আপনার ফোনের অপেক্ষা করতে করতে শেষে বিষয়টা গা-সওয়া হয়ে যায়। তারপরও দুঃখ থেকেই যায়। কিন্তু মুখে তা কখনও প্রকাশ করেন না। তখন স্বাভাবিকভাবেই বাবার সঙ্গে মেয়ের দূরত্ব বেড়ে যায়।
দেখা না করা:
অফিস আর সংসারের চাপ সামলে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করার সময় অনেকেই বের করে উঠতে পারেন না। কিন্তু ওপাশে বয়স্ক দুজন মানুষ আপনার আশায় বসে থাকে। আপনাকে একটু দেখার জন্য অপেক্ষা করেন। কারণ, এতো লম্বা সময় তারা আপনাকে না দেখে আগে থাকেননি। এভাবে তারা অভ্যস্ত নন।
বাবার জন্য ‘সময়’ নেই:
ছোটবেলায় বাবা যখন কাজে আটকে বাসায় আসতে দেরি করতেন তখন খুব রাগ হতো। কারণ, এতে করে বাবার সঙ্গে কাটানো সময়ের পরিমাণ কমে যেতো। বর্তমানে সেই অবস্থায় একবার নিজেকে চিন্তা করুন। আজ তো আপনার হাতেও বাবার জন্যে সময় নেই! তিনি কোনো অভিযোগ করলে আপনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, সময় বের করতে পারছেন না! এভাবেই বাবার সঙ্গে দূরত্ব আরও বেড়ে যায়।
ব্যালেন্স করতে পারছেন না:
নিজের সংসার, পরিবার, অফিসের কাজরে পরেও বাবা-মায়ের জন্যও কিছুটা সময় রাখার চেষ্টা করুন। এ ব্যালেন্সটা আপনাকে করতেই হবে। এটি না পারলেই বাবা-মায়ের সঙ্গে বিশেষ করে বাবার সঙোগ দূরত্বটা বেড়ে যায়।
তাই এতো কিছুর মধ্যে, এতো দায়িত্ব নিতে গিয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন না। নিজের প্রতিও দায়িত্ব পালন করুন। নিজেকে ভালো রাখুন। বাবা-মাকেও ভালো রাখুন।
সূত্র: এই সময়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।