জুমবাংলা ডেস্ক : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের আলোচিত-সমালোচিত সেই দাদি-নাতির বিয়ের ১৬ দিনের মাথায় বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। ইসলামি শরিয়া ও দেশীয় আইনের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ হওয়ায় মঙ্গলবার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
গত ১ জুন আদালতের মাধ্যমে সাত লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন সেই নাতি ও দাদি।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করলে শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ ও হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদার কোর্ট ম্যারেজের কাগজ দেখে তাদের পরিষদে ডেকে এনে আবার বাড়িতে একসঙ্গে বসবাস করতে পাঠিয়ে দেন।
চরফ্যাশন প্রেস ক্লাবের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক এম লোকমান হোসেন ইসলামি শরিয়া ও দেশীয় আইনের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ দাদি-নাতির বিয়ে নিয়ে প্রশাসন, আইনজীবী, ইসলামী ফাউন্ডেশন ভোলার বক্তব্যসহ একটি প্রতিবেদন করেছিলেন।
এদিকে শরিয়া নিষিদ্ধ বিবাহ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর মঙ্গলবার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম হাওলাদার, স্থানীয় আলেম-উলামা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা দাদি ও নাতির অভিভাবকের উপস্থিতিতে বিবাহবিচ্ছেদ করে দাদিকে ওই এলাকার ইউপি সদস্য জালাল আহমেদ ও নাতিকে তার বাপের কাছে তুলে দেন।
হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম হাওলাদার বলেন, তাদের বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি আলাদা থাকতে বলেছি। দাদি অন্য কাউকে বিয়ে করতে চাইলে আমরা তাকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।