জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে একটি ট্রলারের জালে ১৫০টি লাল কোরাল মাছ ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রিপাড়ার বাসিন্দা মো. আবুল ফয়েজের ট্রলার এফবি মোজাইফা আলী থেকে ফেলা জালে মাছগুলো ধরা পড়ে। একেকটি মাছের ওজন চার থেকে পাঁচ কেজি। সব মিলিয়ে মাছের ওজন দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১৭ মণ।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মাছগুলো শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ঘাটে নিয়ে আসা হয়। শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আইয়ুব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ট্রলারের মাঝি নুরুল হোসাইন বলেন, গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এফবি মোজাইফা আলী ট্রলারে করে ১০ জন মাঝিমাল্লা সাগরে মাছ ধরতে যান। প্রথমে রাতে সাগরের ‘১০ বাইন’ এলাকায় জাল ফেলেন। পরদিন বুধবার সকালে জাল তুললে কয়েকটি রুপচাঁদা ও মাইট্টা মাছ ধরা পড়ে। এরপর দ্বিতীয় দফায় ওই দিন রাতে জাল ফেলা হয়। আজ সকালের দিকে জেলেরা জাল তুলে দেখতে পান, বড় বড় লাল কোরাল ধরা পড়েছে। চার থেকে পাঁচ কেজি ওজনের ১৫০টি লাল কোরাল ধরা পড়েছে। মাছগুলোর মোট ওজন প্রায় ৭০০ কেজি
একেকটি মাছের ওজন চার থেকে পাঁচ কেজি। সব মিলিয়ে মাছের ওজন দাঁড়িয়েছে ৭০০ কেজি বা সাড়ে ১৭ মণ। প্রতি মণের দাম ২৫ হাজার টাকা করে চেয়েছেন ট্রলারমালিক
ট্রলারের মালিক আবুল ফয়েজ বলেন, প্রতি মণের দাম ২৫ হাজার টাকা করে চেয়েছেন। এর মধ্যে আবদুল কাদের ও নুরুল কবির নামের দুজন ব্যবসায়ী প্রতি মণ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। তবে তাঁর চাওয়া দাম না পেলে বরফ দিয়ে মাছগুলো কক্সবাজার নিয়ে বিক্রি করবেন বলে তিনি জানান।
শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, এখন সাগরে ইলিশ ধরার মৌসুম হলেও সেভাবে ইলিশের দেখা মিলছে না। তবে লাল কোরাল ধরা পড়ছে। তাই এলাকার অধিকাংশ ট্রলার কোরাল ধরতে ছুটছে সাগরে।
টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, সুস্বাদু কোরাল বা ভেটকি মাছের কদর দেশব্যাপী। বঙ্গোপসাগরের গভীর পানির মাছ কোরাল সব সময় হাটবাজারে পাওয়া যায় না। এ জন্য মাছের দাম কিছুটা বেশি।
বাংলাদেশের জুয়েলারি খাতে বিনিয়োগে আসছে আরও দুই ভারতীয় কোম্পানি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।