ফিফা (FIFA) বিশ্বকাপ ২০২২ আয়োজনের জন্য কাতার মনোনীত হয়েছিলো ২ ডিসেম্বর ২০১০ সালে। ফিফা বিশ্বকাপ কাতারের জন্য বিভিন্নভাবে সংকট কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। এই বিশ্বকাপ কাতারের জন্য যেসকল সুফল বয়ে আনতে পারে, চলুন সেসব সম্পর্কেই এবার আলোচনা করা যাক।
ফিফা বিশ্বকাপ কাতারের ট্যুরিজম খাতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব রাখবে। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক ৬ মিলিয়ন পর্যটক প্রত্যাশা করছে, যা কাতারের ট্যুরিজম খাতকে করবে আরও শক্তিশালী। তাছাড়া, অবকাঠামোগতও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের দ্বারা ফিফা বিশ্বকাপ এনে দেবে প্রচুর বৈদেশিক বিনিয়োগ, যা কাতারের শিল্প ও বিনিয়োগ খাতকে করবে আরও শক্তিশালী। সর্বোপরি, ফুটবল বিশ্বকাপ দেশটির অর্থনীতির বৈচিত্র্যকরণ করবে।
কাতার ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে নিজেদের বিশ্বব্যাপী ইতিবাচক ইমেজ তৈরি করবে। কাতার বলতে যে মরুভূমির উষ্ণ, সাগরবেষ্ঠিত কোনো দেশ- এমন গতানুগতিক ইমেজ দূর করতে ফিফা বিশ্বকাপ যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। দেশটি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে দেখিয়েছে- মরুভূমির গরম কোনো বাধা না।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে- নিজেদের প্রদর্শন করতে যেসকল প্রকল্প ১০ বছর পর শুরু করার কথা, কাতার বিভিন্ন উপায়ে তা ১০ বছর আগে অর্থাৎ বিশ্বকাপের আগে শেষ করিয়েছে। সুদর্শন অবকাঠামো, সহজ যাতায়াতব্যবস্থা, থাকার জন্য নান্দনিক হোটেল, সর্বোপরি একটি শহর নির্মাণ করে কাতার নিজের ইমেজ তৈরি করতে যাচ্ছে।
কাতার মধ্যপ্রাচ্য তথা বিশ্বের অন্যতম প্রভাবক রাষ্ট্র হতে নিজ সংস্কৃতি প্রচারে ফিফা বিশ্বকাপকে কাজে লাগিয়েছে। বিশ্বকাপ ফুটবলের দর্শক হয়ে এসে বিশ্বের বড় বড় নেতাদের আগমন তৈরি করে দেবে দ্বিপাক্ষিক সুবিধা নিয়ে আলোচনার পথ, যা কাতারকে শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকেই লাভবান করবে না, বরং পারস্পরিক সহযোগিতা, নিরাপত্তা প্রভৃতি ক্ষেত্রেও উন্নয়ন ঘটাবে।
সর্বোপরি, ফুটবল বিশ্বকাপের এই আয়োজনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি নানা সুবিধা কাতারকে মধ্যপ্রাচ্য তথা বিশ্বের বুকে সুবিধাজনক অবস্থায় নিয়ে গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।