স্পোর্টস ডেস্ক : নেপাল ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারিকা সন্দীপ লামিচানে। রশিদ খান- মুজিব উর রহমানদের মতো স্পিনাররা যেমন বিশ্ব ক্রিকেটে আফগানিস্তানকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়েছেন, নেপালের ক্ষেত্রেও লামিচানে সে ভূমিকা রাখবেন বলে মনে হয়েছিলে। কিন্তু গত দুই বছর এই লেগ স্পিনারকে খেলা নয়, আইনি কারণেই সংবাদ শিরোনাম হতে দেখা গেছে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে লামিচানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ হেফাজতে থাকার পর মাঝে কিছুদিন জামিনে ছিলেন। ওই সময় ২০২৩ এশিয়া কাপেও অংশ নিয়েছেন তিনি। তবে গত জানুয়ারিতে কাঠমুন্ডুর এক আদালত ধর্ষণের মামলায় লামিচানেকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং ৮ বছরের জেল দেন।
রায়ের পর নেপালের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে সাবেক অধিনায়ককে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে লামিচানেকে তাই দেখার সম্ভাবনা ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই ১ মে ঘোষিত প্রাথমিক দলে রাখাও হয়নি ২৩ বছর বয়সীকে।
এ নিয়ে দুই দিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মুখ খুলেছেন লামিচানে। প্রথমে একটি পোস্ট দিয়ে নিজেকে স্বড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেছেন, ‘বহুদিন পোস্ট দেওয়া থেকে নিজেকে আটকে রেখেছিলাম। আমার কোনো সন্দেহ নে, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এই ষড়যন্ত্রে যারা ভূমিকা রেখেছেন, সবাইকে ঈশ্বর ভাল রাখুক। আমি সব ঈশ্বরের কাছে ছেড়ে দিইলাম। সময়ই সত্য বলবে যদি না কেউ তা এর আগেই জানিয়ে দেয়।’
একটু পরই লামিচানের মনে হয়েছে সব ঈশ্বরের হাতে ছেড়ে দিয়ে হচ্ছে না, তাই নতুন এক পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি, তাতে জানিয়েছেন, ‘আমি আইনকে শ্রদ্ধা করি এবং কোর্টের রায়কেও শ্রদ্ধা করি। তবে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, এই ষড়যন্ত্রে জড়িত প্রতিটা মানুষের নাম আমি সবার কাছে ফাঁস করে দেব। এই মামলার সঙ্গে জড়িত সবার নামও।’
ধর্ষণ মামলায় নাম জড়ানোর আগে নেপাল ক্রিকেটের মুখ বলে মানা হতো লামিচানে। মাত্র ২০ পেরোনো এই ক্রিকেটারকে অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ আইপিএলেই তাঁকে দলে নিয়েছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (দিল্লি ক্যাপিটালস)। প্রথম নেপালে ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে সুযোগ পাওয়া এই লেগ স্পিনারকে নিয়ে এরই মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, ২৫ মে-র আগে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারলে বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।