স্পোর্টস ডেস্ক : চলতি বিশ্বকাপে নজর কেড়েছেন একাধিক প্লেয়ার। একাধিক দল অঘটন ঘটিয়েছে। চর্চায় থেকেছে সমর্থকরাও। তবে এবার আলোচনায় এসেছেন এক ক্রীড়া সঞ্চালক। বিশ্বকাপে যার সঞ্চালনা বাকিদের থেকে আলাদা।
কেইলিন কাইল
ফিফা বিশ্বকাপে নজর গোটা বিশ্বের। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাংবাদিকরা গেছেন ম্যাচ কভার করতে। তবে তাদের মধ্যে থেকে আলোচনায় উঠে এসেছেন কেইলিন কাইল। তিনি একটি সংবাদমাধ্যমের হয়ে বিশ্বকাপ কভার করতে গেছেন, পাশাপাশি তিনি ফিফার হয়েও সাক্ষাৎকার নিয়েছেন একাধিক ফুটবলারের। এই কেইলিন তাঁর সাংবাদিকতার দক্ষতার জন্য শিরোনামে চলে এসেছেন। তাঁর উপস্থাপন দক্ষতা বাকিদের থেকে আলাদা। তবে সাংবাদিক হওয়ার আগে তিনি ছিলেন ফুটবল তারকা। ফলে বাকিদের থেকে তাঁর ফুটবলের প্রতি জ্ঞানটাও বেশি। সেটাই তাঁকে বাকিদের থেকে আলাদা করে তোলে।
ফুটবলার
কেইলিন কাইল সঞ্চালনায় আসার আগে তিনি ফুটবল খেলতেন। কানাডার হয়ে তিনি ফুটবল খেলেছেন। ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি কানাডার সিনিয়র মহিলা দলের হয়ে ফুটবল খেলেছেন।
প্রথম জীবন
কেইলিন কাইল কানাডার সাসকাটুনে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই বড় হন তিনি। তাঁর বাবা ছিলেন পেশাদার হকি তারকা। তাঁর মা ছিলেন প্রাক্তন ভলিবল তারকা। ফলে পরিবারকে দেখেই তাঁর খেলায় আসা। স্কুলস্তর থেকে তিনি ফুটবল খেলেন।
পেশাদার জীবন
২০০৬ সাল থেকে তিনি পেশাদার ফুটবল খেলা শুরু করেন। ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের হয়ে তিনি ফুটবল খেলা শুরু করেন। এরপর তিনি টানা সাতটা ক্লাবে খেলেন। ২০০৪ সালে তিনি কানাডার অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক করে।
জাতীয় দল
২০০৪ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় দলের হয়ে খেলেন। সাতটা ম্যাচ খেলেন। ২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি কানাডার অনূর্ধ্ব ২০ জাতীয় দলের হয়ে খেলেন। ৩১টা ম্য়াচ খেলেন তিনি। ২০০৮ সালে তিনি কানাডার সিনিয়র দলে সুযোগ পান। ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি খেলেন। মোট ১০১টা ম্য়াচ খেলেছেন তিনি কানাডার সিনিয়র দলে।
সাফল্য
২০০৮ সালে কানাডার হয়ে তিনি প্য়ান আমেরিকান গেমসে সোনা জেতেন। এরপর ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক গেমসে কানাডার হয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন। ২০১৫ সালে মহিলাদের ফুটবল বিশ্বকাপে তিনি ১০০ তম ম্যাচ খেলেন কানাডার হয়ে।
অবসর জীবন
২০১৭ সালে একটি সোশাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে তিনি অবসর ঘোষণা করেন। এরপর ২০১৭ সালেই তিনি ক্রীড়া উপস্থাপক হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন। এরপর একেরপর এক ইভেন্টে তিনি ক্রীড়া উপস্থাপনা করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
পেশাদার জীবনে তিনি যতই সফল হোন না কেন, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি খুব শক্তিশালী। ২০১৭ সালে তিনি বিয়ে করেন হ্যারিসন হিথকে। ২০১৮ সালে জুন মাসে তাদের এক সন্তানের জন্ম হয়। যার নাম হেডেন জ্যাক হিথ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।