Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিসিএস বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করলে হয়!
    মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার শিক্ষা

    বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিসিএস বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করলে হয়!

    Soumo SakibApril 29, 2024Updated:April 29, 20244 Mins Read

    মাহামুদুল হক : বহুল আগ্রহের বিসিএস বা সরকারি যেকোনো চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বা অনার্স কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা প্রথম বর্ষ বা দ্বিতীয় বর্ষ থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা অ্যাকাডেমিক পঠন-পাঠনে মনোযোগী হন না বা হতে পারেন না।

    Advertisement

    কোন রকম রেজাল্ট করে বিসিএস সিলেবাস কভার করার জন্য পড়েন। বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে তারা নিয়মিত যান, কিন্তু গ্রন্থাগারের বই পড়তে নয়, নিরিবিলি বিসিএস গাইড পড়তে, তথ্য মুখস্থ করতে।

    প্রায় পত্রিকায় প্রকাশ হয় সকালবেলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে প্রবেশে শিক্ষার্থীদের লম্বা সারির ছবি—যারা চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গ্রন্থাগারে নিরিবিলিভাবে গাইড পড়তে যান। অ্যাকাডেমিক জ্ঞান বা বিদ্যা অর্জনের জন্য তারা গ্রন্থাগারে যান না।

    শিক্ষার্থীরা এখন অ্যাকাডেমিক বা অন্যান্য গ্রন্থ কেনেনও না, শুধু কেনেন চাকরির গাইড বই। জ্ঞান অর্জনের জন্য পড়াশোনা নয়, চাকরির জন্য শিক্ষা অর্জন—এটা একটা জাতিকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট।

    এখন চাকরিপ্রত্যাশীদের লাইন আরও দীর্ঘ হয়েছে। মজার ব্যাপার, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশে বাইরের দিকে চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য সেড করে দেওয়া হয়েছে, চেয়ার-বেঞ্চ রয়েছে, যেখানে শত শত শিক্ষার্থী সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পালাক্রমে বিসিএস বা চাকরি পরীক্ষার গাইড পড়েন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে এই সেড তৈরি করে দিয়েছে, যাতে খোলা আকাশের নীচে মেঝেতে বসে পড়তে না হয়।

    শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর লাইব্রেরিকে এখন জ্ঞানার্জন বা বিদ্যার্জনের জন্য নয়, ব্যবহার করছেন শিক্ষা সনদ নিয়ে বিসিএস পরীক্ষার তথ্যার্জনের জন্য, পড়ছেন চাকরির গাইড বই। শিক্ষার্থীরা এখন অ্যাকাডেমিক বা অন্যান্য গ্রন্থ কেনেনও না, শুধু কেনেন চাকরির গাইড বই। জ্ঞান অর্জনের জন্য পড়াশোনা নয়, চাকরির জন্য শিক্ষা অর্জন—এটা একটা জাতিকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট।

    আমরা শিক্ষক হিসেবে গর্ব করি কোনো শিক্ষার্থী বিসিএস ক্যাডার হলে। গর্ববোধ করি যে আমার শিক্ষার্থী বিসিএস ক্যাডার হয়েছে বা ভালো চাকরি পেয়েছে। কিন্তু আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, এভাবে তথ্যার্জন করে বিসিএস পাস করলে অ্যাকাডেমিক পাঠন-পাঠনের প্রয়োজন কী? শুধুই কি সনদ অর্জনের জন্য অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা? উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন কেন তাহলে?

    বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে গিয়ে দেখছি, একটা সেমিস্টারে দু-একজন শিক্ষার্থী ছাড়া অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা কেউ সিরিয়াসলি করেন না, কোনো রকমে দ্বিতীয় শ্রেণির একটা রেজাল্টের জন্য পড়েন। বাকিরা কেউ আড্ডা দিয়ে সময় কাটান, তবে এখন বেশিরভাগ চাকরির গাইড বই পড়েন।

    এমনকি, আমরা যখন বেশি ক্লাস ও পড়াশোনার চাপ দেই তখন শিক্ষার্থীরা বলেন, সামনে বিসিএস পরীক্ষা স্যার। ক্লাস কম নেওয়ার অনুরোধও আসে। এভাবে একটা জাতি সনদ নির্ভর হয়ে গেলে এর ভবিষ্যৎ অন্ধকার নিশ্চিতভাবে।

    আশ্চর্য ঘটনা হচ্ছে, আমরা বিসিএসে একই প্রশ্ন করে করে সব ধরনের কর্মকর্তা নিয়োগ দেই। কত ছোট ছোট তথ্য জানলো, কত নম্বর পেলো—এটাই একমাত্র পরিমাপক সরকারি চাকরির যোগ্যতার৷

    বাংলাদেশের যে রেনেসাঁ এতোদিনে ঘটেছে, তা অন্ধকারের দিকে নিমজ্জিত হবে। এ জন্যই আমরা খবরে দেখি, বিসিএস ক্যাডার টিএনও কৃষককে লুঙ্গি পরে অফিসে ঢুকতে দেন না, সাংবাদিক পেটান। অমানবিকতার ও লাঞ্ছনার উপদ্রব বারবার খবরের শিরোনাম হয়। দুর্নীতির মহোৎসবে মেতে উঠে তথ্যার্জনে ভরপুর প্রজন্ম। বালিশকান্ডও ঘটে!

    এই ব্যর্থতা আমাদেরও। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞানার্জন ও বিদ্যার্জনের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী পরিপূর্ণ বুদ্ধিবৃত্তি সম্পন্ন মানবিক মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠে। কিন্তু আমরা শিক্ষার্থীদের বিদ্যার্জন করাতে পারি না, মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে পারি না।

    আমরা যখন শিক্ষার্থী ছিলাম, একটা টপিকের জন্য অনেক বই পড়তাম। এমনকি যারা অত ভালো রেজাল্টধারী ছিল না, তারাও বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে বই পড়তো, বই কিনতো। এখন এসবের দিন শেষ। এভাবে একটা জাতিকে পঙ্গু করা যায় না।

    এ জন্য চাকরি পরীক্ষার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা জরুরি। আমরা যদি যুক্তরাজ্য বা অন্যান্য দেশের সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখি, তাহলে দেখা যাবে যে এরকম তথ্য মুখস্থ করার যোগ্যতা দিয়ে সিভিল সার্ভিস ক্যাডার নিয়োগ হয় না। এসব নিয়োগে মূলত দেখা হয়, কতগুলো দক্ষতা ও সফলতার সংশ্লেষণ বা সাকসেস প্রোফাইল আছে, যা ছাত্র জীবন বা অ্যাকাডেমিক জীবন থেকেই বিদ্যার্জনের মাধ্যমে অর্জিত হতে থাকে।

    সাকসেস প্রোফাইলের মধ্যে থাকে জ্ঞান বা কোনো বিষয় আয়ত্ত করা বা কোনো বিষয়ে সংযুক্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা, সক্ষমতা বা অ্যাবিলিটি বা অ্যাপটিটিউড। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করার সম্ভাব্যতা, সামর্থ্য, উক্ত পদের কারিগরি দক্ষতা এবং সর্বশেষ উক্ত চাকরি করার কর্ম আচরণ।

    আশ্চর্য ঘটনা হচ্ছে, আমরা বিসিএসে একই প্রশ্ন করে করে সব ধরনের কর্মকর্তা নিয়োগ দেই। কত ছোট ছোট তথ্য জানলো, কত নম্বর পেলো—এটাই একমাত্র পরিমাপক সরকারি চাকরির যোগ্যতার৷

    তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিসিএস বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করলে হয়! আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু বিসিএস পাঠ দিবো, অ্যাকাডেমিক পঠন-পাঠনকে গৌণ করে!

    আসলে এখন এ অবস্থাই তৈরি হয়েছে পরোক্ষভাবে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিসিএস বা চাকরির পরীক্ষার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। তারা এসএসসি-এইচএসসিতে সিলেবাসের বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান অর্জনের জন্য পড়াশোনা করেন। আবারো ফিরে যান নিম্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পড়াশোনায়। কারণ, চাকরির পরীক্ষায় এসব লেভেলের প্রশ্ন থাকে। চিন্তা করা যায়, এসব লেভেলের মান, মাপ বা পরিমাপ দিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা হবেন তারা, আমলাতন্ত্র চালাবেন, দেশ চালাবেন! সিভিল সার্ভিসের নিয়োগ পরীক্ষা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মান দিয়ে বা লেভেলের হতে পারে না।

    বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা, সক্ষমতা, সামর্থ্য, কারিগরি দক্ষতা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রভৃতি যোগ্যতার অনুসন্ধানে উচ্চশিক্ষার মানদণ্ডে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তার নিয়োগ পরীক্ষা পরিচালনা করা উচিত। গতকাল বিসিএস পরীক্ষা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভরে যাবে কে কয়টা উত্তর দিয়েছে, কত নম্বরে উত্তীর্ণ হওয়া যাবে—এসবই এখন সরকারি চাকরির মাপকাঠি। এই মাপকাঠি ঘুণেধরা, ভঙ্গুর! এই পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন জরুরি।

    লেখক : মাহামুদুল হক, সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন সিদ্ধান্ত

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    করলে প্রভা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিসিএস মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার রূপান্তর শিক্ষা হয়,
    Related Posts
    ভালো শিক্ষক হবার কৌশল

    ভালো শিক্ষক হবার কৌশল: সফল শিক্ষার গোপন রহস্য

    June 30, 2025
    Shibir

    শতভাগ আবাসন ও চাকসু নির্বাচনের দাবিতে চবি ছাত্রশিবিরের সাত দফা ঘোষণা

    June 29, 2025
    Lalpur

    এসএসসি পর বাবা ও মেয়ে একসঙ্গে দিচ্ছেন এইচএসসি পরীক্ষা

    June 29, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Xiaomi AI Smart Glasses

    Xiaomi AI Smart Glasses Redefine Wearable Tech with Real-Time Translation and Alipay Payments

    Nokia X95

    Nokia X95: Real Deal or Just Hype? Here’s What You Need to Know

    top-ranked TV shows

    Top-Ranked TV Shows Everyone Is Watching Right Now – Netflix, Hulu & Prime Video Hits

    REDMI Note 15 Pro+ 5G

    REDMI Note 15 Pro+ 5G: Xiaomi’s Next Global Mid-Range Powerhouse is Here

    নামাজের সময়সূচি ২০২৫

    নামাজের সময়সূচি : ১ জুলাই, ২০২৫

    আজকের টাকার রেট

    আজকের টাকার রেট: ১ জুলাই, ২০২৫

    ২২ ক্যারেট সোনার দাম

    ২২ ক্যারেট সোনার দাম: আজকে স্বর্ণের বর্তমান মূল্য

    Hack

    কোনো ক্লিক ছাড়াই হ্যাক হচ্ছে স্মার্টফোন, টার্গেটে গুরুত্বপূর্ণ পেশার মানুষ

    Dighi

    জমকালো বিয়ের সাজে চিত্রনায়িকা দীঘি

    ওয়েব সিরিজ

    রিলিজ হলো রোমান্সে ভরপুর নতুন ওয়েব সিরিজ, না দেখলে মিস করবেন!

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.