জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি, সিয়েরা লিওনের ফ্রিটাউন, গ্রিসের অ্যাথেন্স, চিলির সান্তিয়াগো, মেক্সিকোর মন্টেরি এবং অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে চিফ হিট অফিসার রয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় এ পদে আছেন দু’জন। বিশ্বে ২০২১ সালে প্রথম ব্যক্তি ও নারী হিসেবে চিফ হিট অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান জেন গিলবার্ট। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মিয়ামিতে কাজ করেন। এরপর একে একে বাকিরাও এই পদে যোগ দেন। বিশ্বব্যাপী এ পদে মাত্র ৮ জন কাজ করছেন। আর তাদের মধ্যে সবাই নারী।
এসব চিফ হিট অফিসাররা শহরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা উদ্ভাবন করা, সেগুলো জানানো ও বাস্তবে রুপ দিতে কাজ করে থাকেন।
২০২১ সালে জেন গিলবার্ট নিয়োগের পর তাঁর মূল কাজ ছিল প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের সঙ্গে সম্পর্কিত স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলায় যে জায়গাগুলোতে সমন্বয়ের ঘাটতি আছে, সেগুলো নির্দিষ্ট করা। দ্বিতীয় নারী হিসেবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেন এলেনি মাইরিভিলি। তিনি গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে নিয়োগ পান। তবে ২০২৩ সালের মার্চে তাকে এথেন্স থেকে জাতিসংঘের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এলেনি মাইরিভেলিকে জাতিসংঘের দায়িত্ব দেওয়ার পর এথেন্সে নিয়োগ দেওয়া হয় এলিসাবেথ বারজিয়ান্নিকে।
আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিয়নের ফ্রিটাউনে চিফ হিট অফিসার হিসেবে রয়েছেন ইগুইনা কার্গবো। ২০২১ সালের নভেম্বরে চিফ হিট অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় কার্গবোকে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ রুখতে কার্গবো বৃক্ষরোপণ থেকে শুরু করে বর্জ্য সংগ্রহ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার চালাচ্ছেন নিয়মিত।
লাতিন আমেরিকার দেশ চিলির সান্তিয়াগো শহরে এই দায়িত্বে আছেন ক্রিস্টিনা হুইদোরবো তোরনাবোল। প্রতিবছর সান্তিয়াগোতে প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে অনেক মানুষ মারা যায়। মৃতের এই সংখ্যা অন্যান্য সম্মিলিত সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বেশি। এ ছাড়া উচ্চ তাপমাত্রা এবং কম বৃষ্টিপাতের কারণে শহরের পানির মজুতে টান পড়ছে। এসব বিষয় সামনে এনে সচেতনতা বাড়াতে শহরের মেয়র ক্রিস্টিনাকে চিফ হিট অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেন
অপরদিকে অস্ট্রেলিয়ায় চিফ হিট অফিসার হিসেবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন ক্রিস্টা মিলনে এবং টিফানি ক্রোফোর্ড। অন্যান্য শহরে একজন করে চিফ হিট অফিসার থাকলেও অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে আছেন দুজন। মেলবোর্নকে
একটি প্রাণবন্ত, দারুণভাবে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণের শহর হিসেবে গড়ে তোলার কাজ করছেন।
অন্যদিকে বংলাদেশে প্রথম হিট অফিসার বুশরা আফরিন। বুশরা শুধু ঢাকা নয়, এশিয়া মহাদেশেরও প্রথম চিফ হিট অফিসার। সে হিসেবে তার কাছ থেকে এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের শিকার মানুষদেরও প্রত্যাশা রয়েছে। কিন্তু অন্য দেশের হিট অফিসাররা যখন কুল পেভমেন্ট, গাছ লাগানো এবং ক্যানোপি তৈরির মতো ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন সেখানে বুশরা আফরিনের দিকে এখনো অপেক্ষায় চেয়ে আছেন ঢাকাবাসী।
গত এক বছরেও তার কোনো কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। ফলে এ নিয়ে নানা মাধ্যমে আলোচনায় সরব রয়েছেন সচেতন নাগরিকরা। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলা এবং নগরে ‘হিট আইল্যান্ডের’ প্রভাব কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা বুশরার প্রধান কাজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।