বিনোদন ডেস্ক: অ্যাডলিন মিউইস কোয়াড্রোস ক্যাসেলিনো। এছরের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারত থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। হয়েছেন চতুর্থ। পেয়েছেন ‘মিস ডিভা’ খেতাব। আর বিনোদন দুনিয়ায় তিনিই এখন চর্চায়।
অ্যাডলিনের জন্ম কুয়েতে। সেখানেই ইন্ডিয়ান সেন্ট্রাল স্কুলে পড়াশোনা। ১৫ বছর বয়সে ফেরেন দেশে। প্রথমে মুম্বাইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে ভর্তি হন। পাশ করে যান মুম্বাইয়ের উইলসন কলেজে। বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতক ডিগ্রি পান।
ভারতীয় কৃষকদের আত্মহত্যা ঠেকাতে তিনি সামাজিক কাজ শুরু করেন। বিকাশ সহযোগ প্রতিষ্ঠান নামে একটি সংস্থার সদস্য অ্যাডলিন। এছাড়াও এলজিবিটি কমিউনিটির জন্য নিয়মিত কাজ করেন তিনি।
২০২০র লকডাউনের সময়ে এইচআইভি পজিটিভ শিশুদের জন্য খাবার, স্যানিটাইজার ও মাস্ক সরবরাহ করতে থাকেন ডিজাইর সোসাইটির মাধ্যমে। গতবছর বড়দিনে সিক্রেট স্যান্টা সেজে সেই বাচ্চাদেরই তাক লাগিয়ে দেন এই সুন্দরী।
কোভিড নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে স্মাইল ট্রেন নামে একটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হন অ্যাডলিন। তিনি বলেন, ‘করোনার এই বাড়বাড়ন্ত আমাদের জীবন থেকে অনেক কিছুই কেড়ে নিয়েছে, কিন্তু এই অতিমারী যেন আমাদের মানবতা ও পাশে দাঁড়ানোর জোর কেড়ে নিতে না পারে।’
মুম্বইয়ের কোকাবেরি ট্রেনিং অ্যাকাডেমি থেকেও বিউটি প্যাজেন্টের ট্রেনিং নেন। মিস কোকাবেরি ডিভা খেতাবও পান।
২০১৯ য়ে চেন্নাই অডিশনের মাধ্যমে অ্যাডলিন ক্যাসেলিনো মিস ডিভা প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হন। সেই প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্যায়ে ওঠেন তিনি।
ব্যাডমিন্টন খেলায় পারদর্শী এই সুন্দরী। বেনেট ইউনিভার্সিটির সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় ‘মিস স্ম্যাশার’ খেতাব পান।
মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় বিচারক মালাইকা অরোরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘ধর্ম কি আমাদের বিভক্ত করে?’ উত্তরে ক্যাসেলিনো বলেন, ‘ধর্ম আসলে মানুষকে ঐক্যবদ্ধই করে। বিভেদ তৈরি করে মানুষ নিজেই, ধর্ম নয়’।
বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় যাওয়ার আগেই অবশ্য মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘মেরে দিল ভিচ’ ও ‘তেরে বিনা’ অ্যালবাম দুটি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পায়। সূত্র: জিনিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



