জুমবাংলা ডেস্ক : অসাধারণ একটি চলচ্চিত্র ‘দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন’ (The Shawshank Redemption)। ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেস বা আইএমডিবি রেটিং-এ সিনেমাটি বিশ্বের এক নম্বর সিনেমা। শশাঙ্ক রিডেম্পশন সিনেমাটি জেলখানা থেকে মুক্তির কাহিনি। এখানে যেন বলা হচ্ছে জীবন থেকে বাঁচো। আশায় বাঁচো। কখনো হাল ছেড়ে দিয়ো না।
তার ওপর তুলে ধরা হয়েছে জেলখানার পরিবেশের নাটকীয় বাস্তবতা। জেলখানা সম্পর্কে বিস্তৃত ও বাস্তবধর্মী ধারণা থাকলেই তবে এমন চমৎকার কাহিনির প্লট সাজানো যায়। আসলে প্লট বললেও ভুল হবে, বলতে হবে জেলখানার মন ছুঁয়ে যাওয়া বাস্তবতা।
ইতিহাসের সব সিনেমার মধ্যে এটি আছে এক নম্বরে। কিংবদন্তি অভিনেতা মর্গান ফ্রিমানের অসাধারণ অভিনয় সিনেমাটিকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। সিনেমায় তার নাম রেড। খুনের মামলায় জেল খাটে। লাইফ ইনস্যুরেন্সের টাকা পেতে স্ত্রীকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল সে। কিন্তু সব প্ল্যানমতো না যাওয়ায় ধরা খেয়ে যায়।
সিনেমাটিকে মনে ধরিয়ে দিতে যেটা মূল চালিকা হিসেবে কাজ করছে সেটা হচ্ছে এর ন্যারেটর বা কথক। সিনেমার বেশির ভাগ অংশই মর্গান ফ্রিমানের ভাষ্যে। তার গম্ভীর কণ্ঠে সিনেমায় তার ভাষ্যগুলো আরও কাব্যিক রূপ লাভ করে।
একজন জেলখানার কয়েদি জীবনের ৪০ বছর জেলে কাটিয়েও যখন মুক্তির আকাঙ্ক্ষা থেকে এক চুলও নড়েন না, তখনই বোঝা যায় তিনি কতটা আশা নিয়ে বাঁচেন। আবার এমন চরিত্রও আছে, এই সিনেমা যে কিনা জেল থেকে মুক্তি পেতে চায় না? কতটা মিশে গেলে একজন লোক বাকি জীবন জেলে থাকার জন্য আবার নতুন করে অপরাধ করতে চায়? কতটা মিশে গেলে জেলের বাইরের জীবন পানসে হয়ে যায়? বাইরের জীবনকে পানসে মনে করে নিজেকে শেষ করে দেয়?
পরিচালক ফ্রাঙ্ক ডারাবন্ট তার জীবনে পরে আরও অনেক সিনেমা তৈরি করেছেন। ভালোও হয়েছে। কিন্তু এই সিনেমাটির মতো অসাধারণ আর কোনোটি হয়নি। এ সিনেমার বড় একটা মেসেজ: ‘আশায় বাঁচো’। সিনেমায় একসময় অতি বিখ্যাত এই বাক্যটি উচ্চারিত হয়: ‘Hope is a good thing, May be the best of things, And no good things ever dies.’
সিনেমাটি স্টিফেন কিংয়ের ঔপন্যাসিক ‘রিটা হেওয়ার্থ অ্যান্ড শশাশ্ঙ্ক রিডেম্পশন’ অবলম্বনে নির্মিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।