আপনি জানেন কি এমন একটি রক্তের গ্রুপ রয়েছে যা প্রতি ৬০ লাখ জনের মাঝে মাত্র এক জনের শরীরে রয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে এটিই হল বিশ্বের বিরলতম গ্রুপের রক্ত। আর রক্তের এই গ্রুপটিকে বলা হয় গোল্ডেন ব্লাড। যাদের শরীরে নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত রয়েছে যেমন, ওৎ-নেগেটিভ, এবি নেগেটিভ, বি-নেগেটিভ ইত্যাদি; বিপদে পড়লে বা মেডিকেল ইর্মাজেন্সির সময় এসব গ্রুপের রক্ত খুঁজে পেতে হিমশিম খেতে হয়।
আমেরিকান রেডক্রস জানিয়েছে যে, সমস্ত গ্রুপের রক্ত প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে একজনের শরীরে থাকলে সে গ্রুপের রক্তকে বিরল গ্রুপ বলা যেতে পারে। ও নেগেটিভ হল তেমন একটি বিরল রক্তের গ্রুপ। তবে প্রতি ৬০ লাখ জনের মাঝে মাত্র একজনের শরীরে রয়েছে এ ধরনের রক্তের গ্রুপের কথা অনেকেই জানে না। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, এটি হচ্ছে বিশ্বের বিরলতম গ্রুপের রক্ত। এটিকে গোল্ডেন ব্লাড বলা হলেও খুব কম মানুষ এরকম নাম শুনেছেন।
সর্বপ্রথম ১৯৬১ সালে এক অস্ট্রেলিয়ার নারীর দেহে এ ধরনের রক্তের গ্রুপের দেখা মিলে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে রক্তের মধ্যে RH ফ্যাক্টর এর উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির ভিত্তিতে ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় করা হয়। এরপর দেখা হয় এটি এবি নাকি ও-গ্রুপের রক্ত।
মানুষের শরীরে ৬১ রকম RH এন্টিজেন থাকে। RH এন্টিজেন থাকবে কি থাকবে না বা কি পরিমানে থাকবে সেটি অনেকটা নির্ভর করে জিনগত কারণে উপরে। আগের প্রজন্ম থেকে পরের প্রজন্মে এটি প্রবাহিত হতে পারে।
তবে সকলের ক্ষেত্রে বিষয়টি এরকম নয়। এন্টিজেন এর মধ্যে মানুষের রক্তকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হচ্ছে এ, বি এবি এবং ও। প্রত্যেকটি রক্তের গ্রুপ আবার দুই ভাগে বিভক্ত। পজিটিভ এবং নেগেটিভ।
অর্থাৎ মানুষের শরীরে আটটি আলাদা গ্রুপের রক্ত পাওয়া যায়। এগুলোর বাইরে নতুন গ্রুপটি হচ্ছে ‘RH Null’। এ ধরনের রক্তকে সবথেকে দামি রক্ত বলা হয়। যাদের দেহে গোল্ডেন ব্লাড গ্রুপের রক্ত রয়েছে তারা পৃথিবীর যে কাউকে রক্ত দিতে পারবেন।
বিরল কিছু চিকিৎসায় এ রক্ত কাজে আসতে পারে। কাজেই এটিকে গোল্ডেন ব্লাড বা সোনালী রক্ত বলা হয়। বিগত ৫৮ বছরের মাত্র ৪৩ জন ব্যক্তির শরীরে বিরল রক্তের গ্রুপ পাওয়া যায়। এক ৪৩ জনের মধ্যে মাত্র ৯ জন নিয়মিত রক্ত দান করে থাকেন। তারা রক্ত দিতে পারলেও সবার থেকে রক্ত নিতে পারেন না। রক্ত নিলে শরীরে বিষক্রিয়া ঘটতে পারে। এজন্য তাদের সাবধানে জীবনযাপন করতে হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।