জুমবাংলা ডেস্ক: মানুষ মানুষের পাশে থাকতে চায়, কাছে থাকতে চায়। প্রত্যন্ত দ্বীপে একটি ছোট্ট বাড়ি তৈরির পেছনে কী কারণ থাকতে পারে? বিগত কয়েক বছর ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে নির্জন বাড়ির বিষয়ে অনলাইনে অনেক গুজব রয়েছে। সম্প্রতি টুইটারে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে আরো এক তথ্য উঠে এসেছে।
চারিদিকে পানির মাঝে একটি দ্বীপ। আর সেই নির্জন দ্বীপেই রয়েছে একটি বাড়ি। ভাবতেই যেন রূপকথার গল্পের মতো। তবে সত্যি এমন একটি বাড়ি রয়েছে বিচ্ছিন্ন আইসল্যান্ডের দ্বীপ এলিডেইতে। সেই বাড়িটির অস্তিত্ব নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গল্প শোনা গিয়েছে। কারোর মতে, বাড়িটির অস্তিত্ব নেই। আবার কারোর মতে বাড়িটির অস্তিত্ব থাকলেও আদৌ সেখানে কেউ থাকে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ২০২০ সালে একটি গুজব অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে যে এক বিত্তশালী ব্যক্তি ঐ নির্জন বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। যিনি জম্বি অ্যাপোক্যালিপস বা পারমাণবিক যুদ্ধের জন্যে সেই প্রত্যন্ত দ্বীপের বাড়িতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। আবার বাড়িটির অস্তিস্ত্ব নেই এবং শুধুমাত্র ফটোশেপ ছবি বলেও কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী দাবি করেন। তবে আসল সত্য হচ্ছে যে বিচ্ছিন্ন সাদা বাড়িটির অস্তিত্ব থাকলেও কয়েকশো বছর ধরে সেই দ্বীপটিই জনমানবশূন্য় হয়ে পড়ে রয়েছে।
বিশ্বের নির্জনতম বাড়িটি দেখতেই বা কেমন? আইসল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত একটি দূরবর্তী এবং ছোট দ্বীপ এলিডেইতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে নির্জন সাদা রঙের বাড়ি। সংশ্লিষ্ট দ্বীপটি ১১০ একর বড় এবং সেখানে রয়েছে পাফিন নামে পরিচিত নর্ডিক পাখি এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির পাখিও।
আসলে কোভিড-১৯ আবহেই সংশ্লিষ্ট বাড়ির আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। সেসময় কেউ কেউ বলেন এটি যারা একা থাকতে ভালোবাসেন সেইসব মানুষদের জন্য স্বর্গের মতো। তবে গুজব আর জল্পনা এখানেই শেষ হয়নি। এমনকি সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এক ধার্মিক মানুষ একাকী দ্বীপে বাস করতেন বলেও শোনা গিয়েছে।
আবার বাড়িটিকে ঘিরে আরেকটি জনপ্রিয় তত্ত্ব উঠে এসেছে। গায়ক-গীতিকার বজর্কের সঙ্গে বাড়ি ও দ্বীপটির যোগসূত্র রয়েছে বলে মত আর এক দলের। সংশ্লিষ্ট জায়গাটি আবার সরকারের দেওয়া বলেও গুজব উঠেছে।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় বেশ কিছুদিন আগে এই সমস্ত তত্ত্ব এবং দাবি বাতিল করে টুইট করেন এক ব্যক্তি। তাহলে পৃথিবীর নির্জনতম বাড়ির আসল গল্প কী? রিপোর্ট অনুসারে, পাফিন শিকারীদের জন্য লজ হিসাবে বাড়িটি একটি ক্লাব তৈরি করেছিল। সম্প্রতি এক টুইটার ব্যবহারকারী এবিষয়ে দাবি করেছেন যে একটি শিকারীদের সংগঠনের জন্য ১৯৫০ সালে শিকারীদের লজ হিসাবে বাড়িটিকে তৈরি করা হয়েছিল।
সূত্র: এই সময়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।