জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় বিষ দিয়ে এক খামারির ১১০০ হাঁস মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার (২৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে মধুপুর পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী খামারির।
খামারি আরিফুল ইসলাম বলেন, নরসিংদীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতাম। করোনাকালীন প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ায় চাকরি হারিয়ে তিনজন মিলে হাঁসের খামারটি দিয়েছি। ১১ হাতের একটি শেডে ৪৫ দিন আগে খাকি ক্যাম্পবেল প্রজাতির ১ হাজার ১০০ হাঁসের বাচ্চা পালন শুরু করি। বর্তমানে হাঁসগুলোর ওজন এক কেজি হয়েছিল। সম্প্রতি এক ক্রেতা হাঁসগুলোর দাম বলেছিলেন দেড় লাখ টাকা। তবে আমরা দুর্গাপূজায় হাঁসগুলো বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে খামারে গিয়ে হাঁসগুলোকে সুস্থ ও স্বাভাবিক দেখি। রাতের কোনো একসময় হাঁসের খামারে বিষ দেয়া হয়েছে। সোমবার সকাল ৭টার দিকে খামারে গিয়ে হাঁসগুলোকে মৃত দেখি। এরপর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাই। পরে প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তা ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আরিফুল ইসলাম বলেন, ২১ আগস্ট খড়ি নিয়ে প্রতিবেশী বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে আমার চাচা মিনহাজুর রহমানের বাগবিতণ্ডা হয়। ওই ঘটনার জেরে আমাদের খামারে বিষ দেয়ার ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।
এতগুলো হাঁসের মৃত্যুর বিষয়ে মধুপুর প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি ফিল্ড সহকারী ওবায়দুল্লাহ লিটন বলেন, হাঁসের মৃত্যু হয় যেসব রোগের কোনো নমুনা ছিল না মৃত হাঁসগুলোর শরীরে। মৃত হাঁসগুলোর শরীরে বিষের লক্ষণ পাওয়া গেছে। এতে নিশ্চিত হওয়া গেছে কেউ বিষ দিয়ে হাঁসগুলো মেরে ফেলেছেন।
মধুপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, এতগুলো হাঁসের মৃত্যুর ঘটনা সত্য। তবে উপজেলা কার্যালয়ে কোনো ল্যাব না থাকায় মৃত হাঁসগুলোকে পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। আমাদের ধারণা, বিষক্রিয়ায় হাঁসগুলোর মৃত্যুর হয়েছে। বিষয়টি আরও নিশ্চিত হতে হাঁসগুলোর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হবে।
এ প্রসঙ্গে মধুপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ছানোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।