বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : আমাজনের সাবেক এক অ্যালেক্সা ইঞ্জিনিয়ার বিড়ালের ‘ম্যাও’ ডাক অনুবাদ করতে একটি অ্যাপ তৈরি করেছেন। বিবিসি জানিয়েছে, মিউটক (MeowTalk) নামের ওই অ্যাপ ম্যাও ডাক রেকর্ড করে তার অর্থ বোঝার চেষ্টা করবে।
কোনো বিড়ালের মালিক তার পোষ্যটির ডাকের অর্থ বোঝাতে নিজের মতো করে ডেটাবেজ তৈরি করতে পারবেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সফটওয়্যার সেই ডেটাবেজ সংরক্ষণ করে রাখবে।
অ্যাপটির শব্দভান্ডারে এখন ১৩টি বাক্যাংশ আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ফিড মি’, ‘আ’ম হাংরি’ এবং ‘লিভ মি অ্যালন’।
গবেষকেরা বলে থাকেন, বিড়াল নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য কোনো ভাষা ব্যবহার করে না। মানুষের দৃষ্টি কাড়তে তারা বিশেষ পরিস্থিতিতে ‘ম্যাও’ ডাকে।
‘বিড়ালের ম্যাও কখনো স্বাভাবিক শব্দ নয়। এটি মূলত তাদের যোগাযোগের একটি ভাষা,’ জানিয়ে বিড়ালের আচরণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল দেলগাদো রিডার্স ডাইজেস্টকে বলেন, ‘আপনার বিড়াল এ সময় বোঝানোর চেষ্টা করতে পারে সে ক্ষুধার্ত। তাই এভাবে মনযোগ কাড়তে চায়।’
মানুষ যে পরিস্থিতে ‘হ্যালো’ বলে, বিড়ালরাও অধিকাংশ সময় তেমন করে ‘ম্যাও’ ডাকে বলে জানান তিনি।
এতটুকুই শেষ কথা নয়। দেলগাদো বলেন, ‘বিড়ালের ম্যাও শব্দ আমাদের কাছে অপার রহস্যের ব্যাপার। এই শব্দের কারণ একজন মালিকই ভালো বুঝবেন। তার বিড়াল কখন ম্যাও ডাকে, কখন ডাকে না; একটু খেয়াল করলে সেটি তিনি বলে দিতে পারবেন।’
নতুন অ্যাপটির ডেভেলপার বলেছেন, ‘ঠিক এই কারণে স্বতন্ত্র কোনো ডেটাবেজ তৈরির চেয়ে অ্যাপের অনুবাদ বিড়াল ভেদে ভিন্ন হবে। এক্ষেত্রে মালিক নিজের মতো করে প্রোফাইল তৈরি করে নিতে পারবেন।’
অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। একদম প্রাথমিক পর্যায়ে থাকায় অনেক ব্যবহারকারী কিছু ত্রুটির অভিযোগ করেছেন।
সূত্র: বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।