আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মা আর সন্তানের সম্পর্ক অকৃত্রিম। বিশ্বের কোনো কিছুই এ সম্পর্কের মাঝে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। এ সত্যই আরেকবার প্রমাণ করলেন এক সন্তান।
অসুস্থ মাকে বাঁচানোর জন্য দিতে হবে একটি কিডনি। বহু অর্থের বিনিময়েও কোনো কিডনিদাতা পাওয়া না যাওয়ায় মাকে কিডনি দিতে রাজি হন মেয়ে।
কিন্তু এতে আপত্তি জানান সদ্য বাগদান হওয়া হবু বর। আর তাই বাধ্য হয়ে তরুণী ভেঙে দিলেন নিজের বিয়ে। মাকে দান করলেন নিজের কিডনি।
২৫ বছরের এই তরুণী তার মাকে বাঁচানোর জন্য দান করেছেন নিজের একটি কিডনি। তাকে এ কাজে হবু স্বামী বাধা দিয়েছিলেন। পরে বিয়েই ভেঙে দেন তিনি।
এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরুর ওল্ড এয়ারপোর্ট রোডে অবস্থিত মণিপাল হাসপাতালে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হলেও বাংলাদেশি এই তরুণী ও তার মায়ের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
ওই তরুণীর এমন সাহসী সিদ্ধান্তে অবাক হন হাসপাতালের নেফ্রোলজি ও ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের সার্জনরাও। সাধারণত কম বয়সী অবিবাহিত মেয়েদের কিডনি দান করতে উৎসাহ দেয়া হয় না তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। কিন্তু এই তরুণীকে কোনোভাবেই দমিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি।
গত রবিবার তার একটি কিডনি তার মায়ের শরীরে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। মণিপাল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শংকরণ সুন্দর জানিয়েছেন, তরুণীর এ সিদ্ধান্তের কথা জানার পর তার বাবাকে বলেছি, তিনি সত্যিই খুব ভাগ্যবান। এমন একজন কন্যাসন্তানের বাবা হতে পেরেছেন।
মেয়ের এমন কাজে একাধারে গর্বিত ও আবেগাপ্লুত বাবা অবশ্য ডা. সুন্দরকে জানিয়েছেন দেশে তাদের পরিবারকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে দুই কন্যাসন্তান থাকার জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার মেয়েই তো পরিবারকে বাঁচাল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।