জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশাল নগরীর এক বাড়িওয়ালার মেয়েকে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণের অভিযোগে কাওছার আহমেদ নামের এক পুলিশ কনস্টেবলকে কীর্তনখোলা নদী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী তরুণী বর্তমানে ২০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম।
এর আগে ওই তরুণী বাদী হয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন।
কনস্টেবল কাওছার বরিশাল জেলা পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন এবং তিনি নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকার বুকভিলা গলির একটি বাসায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকে।
এ বিষয়ে ওসি আজিমুল করিম বলেন, “ত্রিশ গোডাউন এলাকায় কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দেন ওই কনস্টেবল। ৯৯৯-এ এক নারী কল দিলে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে তাকে আটক করে। পরে ভুক্তভোগী ওই তরুণীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়।”
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে ওসি বলেন, “স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে জানুয়ারি মাসে ওই বাসায় ভাড়া ওঠেন কনস্টেবল কাওছার। কিছুদিন পর ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। এরপর বিভিন্ন সময়ে বিয়ের আশ্বাসে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে সে তার মা ও খালাকে বিষয়টি জানান। তারা চিকিৎসকের কাছে নিলে ২০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানান।”
তিনি জানান, ২০ আগস্ট ত্রিশ গোডাউন এলাকায় গিয়ে কাওছার আহমেদকে ফোন করে দেখা করার কথা বলেন ওই তরুণী। তখন ওই তরুণীর সঙ্গে ছিলেন তার মা, খালা ও চাচা। সেখানে কাওছারের সঙ্গে তাদের দীর্ঘ সময় কথা হয়। তারা কাওছারকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। এক পর্যায়ে কাওছার কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে ট্রলার নিয়ে মাঝ নদী থেকে তাকে আটক করে পুলিশের গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, “ওইদিন রাতেই তরুণী বাদী হয়ে কাওছারকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।