জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আল মামুন খানের চেম্বারে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নিয়েছিলেন একজন সিনিয়র নার্স। এসময় তিনি নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা বলেও দাবি করেন।
রবিবার সন্ধ্যার পর মেয়রের চেম্বারে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন তিনি। পরে পুঠিয়া থানা পুলিশ তাকে সেখান থেকে থানায় নিয়ে যায়।
রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী জানান, এক তরুণী বিয়ের দাবিতে পুঠিয়া পৌর মেয়রের চেম্বারে অবস্থান নিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি বর্তমানে থানায় আছেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, পৌর মেয়রের চেম্বারে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেওয়া ওই নার্স জানান, প্রায় দুই বছর আগে বর্তমান মেয়র আল মামুন খানের সঙ্গে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর ধীরে ধীরে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মন দেওয়া-নেওয়ার সময় তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। এরপর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিন্তু এই কথা জানিয়ে আল মামুন খানকে বিয়ের জন্য বলা হয়। কিন্তু তিনি বিয়ে করবেন না বলে জানান।
তিনি আরও জানান, শনিবার (১০ এপ্রিল) দুর্গাপুর থানায় গিয়ে আল মামুন খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে গেলে সেখানে অভিযোগ নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে রবিবার তার চেম্বারে গিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে।
তবে এ ব্যাপারে মোবাইলে কোনো কথা বলতে রাজি হননি পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র আল মামুন। তিনি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।