জুমবাংলা ডেস্ক : গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব কেশালীডাঙ্গা গ্রামে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ষষ্ট শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্বপন মিয়া (২৮) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে সোমবার থানায় মামলা করেছেন।
অভিযুক্ত স্বপন মিয়া কেশালীডাঙ্গা গ্রামের এন্তাজ আলীর ছেলে। ঘটনার পর থেকেই আত্মেগোপনে রয়েছেন তিনি।
জানা যায়, ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা-মা বাড়ির বাইরে কাজ করার সুযোগে ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন স্বপন মিয়া। এরপর প্রায় এক মাসে আগে ছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে স্টাম্পে স্বাক্ষর নেওয়াসহ দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি নেয় স্বপন মিয়া। এর পরদিন সে ওই ছাত্রীকে জানায়- তোমার আর আমার বিয়ে হয়ে গেছে। এখন থেকে আমরা স্বামী-স্ত্রী। এরপর প্রায়ই সুযোগ বুঝে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সে। সোমবার রাতে স্বপন মিয়া আবারো ওই মেয়ের ঘরে আসলে তাকে আটকের চেষ্টা করে মেয়েটির পরিবার। কিন্তু সে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকে আপোস-রফার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয় গ্রামের মাতাব্বররা। পরে মেয়েটির বাবা পুলিশের আশ্রয় নেন।
সাদুল্যাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ রানা জানান, এই ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার স্বপন মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন। কিন্তু স্বপন মিয়া ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপন করেছে। তাকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। ওসি বলেন, বুধবার গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।