জুমবাংলা ডেস্ক : সীতাকুণ্ডে বিয়ের প্রলোভনে হোটেলে নিয়ে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সেখানে মেয়েটিকে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত পালাক্রমে ছয়জন মিলে ধর্ষণ করে। সোমবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। বিকালেই ভুক্তভোগী মেয়েটি হাজির হয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, দক্ষিণ ভাটেরখীল কালাম সওদাগরের নতুন বাড়ির মোহাম্মদ ইমন ইসলাম(২০), নুর আহমদ বলির বাড়ির মোহাম্মদ আলিম হোসেন (২২), গুলিয়াখালি খোরশেদ মেম্বারের বাড়ির মো. রিফাত(১৮), মধ্যম ভাটেরখীল এলাকার মো. রনি (২০), মো. তারেক (২০), মধ্যম ভাটেরখীল চিপার বাড়ির মো. নয়ন(২২), হোটেল ম্যানেজার দক্ষিণ ইদিলপুর সিদ্দিক আহম্মদ ট্রেইলার বাড়ির মোহাম্মদ নুরুদ্দিন (৩৮), হোটেল জলসার বয় ছোট দারোগারহাট বেলাল মিস্ত্রি বাড়ির মোহাম্মদ নাজিম (১৭)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত এক মাস আগে জনৈক রাহাতের বিয়ের অনুষ্ঠানে এই মেয়ের সঙ্গে ইমনের(২০) সাক্ষাৎ হয় এবং তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে গত ১০ অক্টোবর ইমন মেয়েটিকে ফোন করে সীতাকুণ্ডে আসতে বললে মেয়েটি সীতাকুণ্ডে আসে এবং সন্ধ্যা ৭টায় পৌরসদরস্থ হোটেল জলসার চতুর্থ তলার ৪০১ নম্বর কক্ষে বিশ্রামের কথা বলে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ইমনসহ ছয়জন আসামি পালাক্রমে রাত ২টা পর্যন্ত মেয়েটির উপর নির্যাতন চালিয়ে সেখান থেকে বের হয়ে যায়। অন্য আসামিরা এতে সহযোগিতা করে ।
এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, ধর্ষণের শিকার তরুণী স্বামী পরিত্যাক্তা। এক মাস আগে নয়নের সঙ্গে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে তার পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরে তার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘনিষ্ঠতা। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে সীতাকুণ্ডে নিয়ে এসে আবাসিক হোটেলে নিজে ও বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। তাদের আটকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।