বিনোদন ডেস্ক: বাংলা সিনেমার সেরা কিছু জুটি যদি থেকে থাকে তা হলে সেখানে শীর্ষে নামটা থাকবে উত্তম-সুচিত্রা জুটি। যাঁদের অনস্ক্রিন প্রেম মানুষের মন কেড়েছে চিরকাল। প্রায় তিন দশক – পঞ্চাশ, ষাট ও সত্তরের রূপালি দশক ধরে মানুষকে একাধিক সিনেমা উপহার দিয়েছেন তাঁরা। সেকালে পরিচালকদের মধ্যেও যেন একটা রেষারেষি চলত। কে সর্ব প্রথম এই জুটিকে নিজের সিনেমার জন্য রাজি করাতে পারে। কারণ, উত্তম-সুচিত্রা মানেই যে সিনেমা হাউসফুল। উত্তমকুমারের সাতটা খুন করা সেই হাসি আর সুচিত্রা সেন মিষ্টতা এবং দিন শেষে এই দুইয়ে মিশে একটা রোম্যান্টিক জুটি দর্শক একেবারে পাগল।
শনিবার কিংবা রবিবারের দুপুর মানেই সিনেমা হলে সামনে মস্ত বড় লাইন। কারণ, পর্দায় যে উত্তম-সুচিত্রা। এক সঙ্গে তাঁদের মোট ৩০টি ছবিতে দেখা গিয়েছে। একটা অন্যরকম রোম্যান্টিকতা বাঙালিকে নতুন করে যেন প্রেমে পড়তে শেখায়। তবে শুধু সেকাল নয় একালে দাঁড়িয়ে আজও চর্চিত তাঁরা। শুধুই অনস্ক্রিন প্রেম নয়, অনুরাগী মহল এমনকী উত্তম ঘনিষ্ঠ মহলেও এই বিষয়টি ভীষণ ভাবে চর্চিত যে অনস্ক্রিনের বাইরে এই বাস্তবের জীবনেও নিজেদের অনেকটা কাছের মনে করতেন তাঁরা। অনেকের ধারণা, একে অপরকে ভীষণ ভাবে ভালবাসতেন তাঁরা। সুচিত্রা আনা টিফিন ছাড়া খেতেন না উত্তমকুমার। একথা পরবর্তীকালে তাঁদের অনেক সহ শিল্পীই স্বীকার করেন। তবে ভালবাসায় তাঁদের খাদ ছিল না।
উল্লেখ্য, উত্তম-সুচিত্রার প্রেমের প্রসঙ্গে এ কথা অনেকেই বলে থাকেন যে, একে অপরকে এতটা ভালবাসা সত্ত্বেও কেন বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন না এই জুটি। যদি এমনটা সত্যিই হত, তা হলে কলাকুশলীমহল যে আজও একটা বিরাট ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে পারত। এ প্রসঙ্গে এককালে নিজেই উত্তর দিয়েছিলেন উত্তমকুমার।
লেখক রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারেই এককালে উত্তমকুমার নাকি জানিয়েছিলেন, নিজের ভালবাসার কথা। জানিয়ে ছিলেন নিজের প্রেমের কথা। সেদিনের সাক্ষাৎকারে উত্তমকুমার তুলে ধরেছিলেন নিজের ভালবাসার কথা। যেখানে নাকি তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর প্রিয় রমা অর্থাৎ সুচিত্রা সেনকে নাকি মহানায়ক বলেছিলেন নিজের মনের কথা। আর সত্যি বলতে, দু’জনেই একে অপরকে বেশ ভালবাসতেন কিন্তু সেই নাকি পৌঁছতে পারেনি বিয়েরপিঁড়ি। উত্তমকুমার জানিয়েছিলেন, বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ায় না করে দিয়েছিল সুচিত্রা।
কারণ হিসাবে বলেছিলেন, “বিয়ে করে নিলে স্বামী-স্ত্রী’র একঘেয়ে প্রেমকাহিনী দেখতে কেউ আসবে না।” এরপর সুচিত্রা সেন অভিনয় ছেড়ে দেওয়ায় ধীরে ধীরে একা হয়ে পড়েন উত্তমকুমার। দু’জনে দেখাও করতেন না কখনও। পরবর্তীকালে নিজ মুখেই স্বীকার করেন এই কথা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।