এ দুটি গ্রহ সূর্যের এত কাছে যে তাদের কোনো উপগ্রহ থাকা কঠিন। কারণ যদি কোনো গ্রহাণু মহাশূন্যে ঘুরতে ঘুরতে তাদের কাছাকাছি এসেও পড়ে, তাহলে ওই গ্রহ দুটির উপগ্রহ না হয়ে বরং সূর্যের আকর্ষণে সূর্যের দিকেই আকৃষ্ট হয়ে ওদিকে চলে যায়। অথবা ধরা যাক, কোনো গ্রহাণু তাদের আঘাত করল। তাতে কী?
বিচ্ছিন্ন অংশ সেই সূর্যের আকর্ষণে ওদিকেই চলে যেত। আমাদের পৃথিবী যখন গঠনের প্রক্রিয়ায় ছিল, পৃথিবীর অধিকাংশ প্রায় গলিত পদার্থে আবৃত, সেই সময় বড় কোনো গ্রহাণু সজোরে আঘাত করায় একটি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথিবীর চারপাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরতে থাকে। এভাবে আমাদের চাঁদের জন্ম।
এটা সম্ভব হয়েছিল, কারণ পৃথিবী সৌরজগতের অভ্যন্তরের চারটি গ্রহের একটি হলেও সূর্য থেকে কিছুটা দূরে রয়েছে। ফলে বিচ্ছিন্ন অংশ সূর্যের দিকে না গিয়ে পৃথিবীর চারপাশে কক্ষপথে ঘুরতে থাকে। মঙ্গল গ্রহেরও দুটি ছোট উপগ্রহ রয়েছে।
এরা অবশ্য আমাদের চাঁদের মতো গোলাকার নয়। এ দুটিই পাথর ও লোহার তৈরি। এদের নাম ফোবোস ও ডিইমোস। এই নাম দুটির অর্থ ভয় ও আতঙ্ক। কেন এমন নাম, তা এক প্রশ্ন বটে। এর দূরবর্তী গ্রহগুলো অ্যাস্টোরয়েড বেল্টেরও দূরে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।