জুমবাংলা ডেস্ক : আবরার ফাহাদ হ’ত্যাকাণ্ডের পর বুয়েট ক্যাম্পাসে আলোচনার শীর্ষে ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা। আলোচিত এই হ’ত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন হওয়া সত্ত্বেও আবরার হ’ত্যা মামলার ১৯ জনের তালিকায় তার নাম না থাকা নিয়ে চলছিল ব্যাপক সমালোচনা। অবশেষে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহজাহান পুরের বাসাবো থেকে অমিত সাহাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। তার গ্রেফতারের পর বুয়েট শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উঠে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অমিত সাহা বুয়েটের জুনিয়রদের ওপর বেশি আগ্রাসী ছিলেন। তার মা’রধরের স্বীকার হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এ কারণে অমিত সাহাকে আতঙ্ক মনে করতেন জুনিয়র ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অমিত সাহা। মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে বুয়েটে ভর্তি হলেও দ্রুত জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে পদ পেতে নিজেকে আগ্রাসী হিসেবে পরিচিত করেন ক্যাম্পাসে। ফলও পান দ্রুত। পদ পান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক হিসবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের ব্যাচের অধিকাংশ শিক্ষার্থী সিনিয়রদের মধ্যে একজনকে পেছনে সবচেয়ে বেশি গালমন্দ করে। তিনি হচ্ছেন অমিত সাহা। তাকে সবেচেয়ে আগ্রাসী দেখা যেত।
রবিবার দিবাগত রাতে বুয়েটের শেরে-বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ১৭তম ব্যাচের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ব্যাপক মা’রধর করা হয়। এই কক্ষের বাসিন্দা অমিত সাহা। এখানে জুনিয়রদের নিয়মিত র্যাগিংয়ের নামে নি’র্যাতন করা হতো বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, আবরার ফাহাদ হ’ত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অমিত সাহার নি’র্যাতনের বিভিন্ন ঘটনা প্রকাশ পায়। বুয়েট ছাত্রলীগের ফেসবুক গ্রুপে কাকে র্যাগ দেওয়া হবে সে বিষয়ে আলোচনা হতো।
সে রকম একটি ঘটনায় এক সিনিয়রকে চটকানি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো একটি পোস্টে অমিত সাহা কমেন্ট করেন, বুয়েট ছাত্রলীগ সুশীল হবে, মারবেও না, বাট কোনো সুশীল নন-পলিটিক্যাল একটা কথা বলার সাহসও রাখবে না। ইদানীং সুশীলদের কথা অনেক বেশি বাড়ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।