আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) এদিকে আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছি পারিবারিক ও সামাজিক ঠুনকো সর্ম্পক। অন্যদিকে নজির তৈরি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির।
ভারতের কর্নাটকের মেঙ্গালুরুর একটি গ্রামে এমনই এক বাস্তবতা দেখা মিলল।
এই সময় জানায়, ৬২ বছরের বৃদ্ধ ব্রাহ্মণের মৃত্যু হয়েছিল বার্ধক্যজনিত কারণেই। কিন্তু করোনার ভয়ে পরিবারের কেউই সেই বৃদ্ধের দেহ চোখে একবার দেখতেও রাজি হননি।
শেষ পর্যন্ত বৃদ্ধের শেষকৃত্যে এগিয়ে এলেন এলাকায় মুসলিম এক সমাজসেবক।
জানা গিয়েছে, বিনোভা কেটি মহম্মদ আসিফ নামে ওই ব্যক্তি বৃহস্পতিবার বৃদ্ধের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছেন।
হিন্দু রীতি মেনে মুখাগ্নি ও ছাই সংগ্রহ করে উদ্দিনাহিথলুর কাছে ভাদাভান্দেশ্বরা মন্দিরের কাছে সমুদ্রের জলে সেই ছাই বিসর্জন দিয়েছেন আসিফ।
বৃদ্ধের শেষ ইচ্ছে ছিল যে তার শরীরের শেষ অংশটুকু যেন ওই সমুদ্রের পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু করোনার ভয়ে পরিবারের কেউই সেই দেহ ছোঁয়া তো দূরের কথা, একবার দেখতেও রাজি হননি।
বৃদ্ধ অবিবাহিত ছিলেন, তার চার ভাইবোন রয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই যোগাযোগ করা হয়, কিন্তু কেউই শেষকৃত্য করতে রাজি ছিলেন না। শ্মশানেও দেহ নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন তারা।
মনে করা হচ্ছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা। যদিও হাসপাতাল থেকে বৃদ্ধের মৃত্যুর কারণে বার্ধক্যজনিত রোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
আসিফ জানিয়েছেন, বৃদ্ধের বোনের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে ফোন করে কথা বলেছিলেন তিনি। তিনিই আসিফকে শেষকৃত্য করতে বলেছিলেন। মুলকি পুলিশের অনুমতি নিয়ে আসিফ সেই দেহ শ্মশানে নিয়ে যান।
গত ২০১৮ সাল থেকে মুলকির একটি অনাথ আশ্রমে থাকতেন ওই বৃদ্ধ। আসিফই তাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে ওই আশ্রমে নিয়ে গিয়েছিলেন।
আসিফ জানিয়েছেন, শেষ কয়েকদিন ধরে বৃদ্ধ খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তার পরেই মুলকির সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। হাইপারটেনশন ও ডায়াবেটিসের সমস্যা ছিল ওই বৃদ্ধের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।