বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, বৃহস্পতি গ্রহের কক্ষপথের পরিবর্তন পৃথিবীপৃষ্ঠের জীবনকে আগের চেয়ে আরো বেশি অতিথিপরায়ণ করে তুলতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রিভারসাইডের (ইউসিআর) বিজ্ঞানীরা আমাদের সৌরজগতের বিকল্প ব্যবস্থা অনুকরণ করে দেখতে পেয়েছেন, যখন বৃহস্পতি গ্রহের কক্ষপথ আরো চ্যাপ্টা বা এককেন্দ্রিক হবে তখন তা আমাদের গ্রহের কক্ষপথেও বড় পরিবর্তন ঘটাবে। এখন পর্যন্ত সৌরজগতের সবচেয়ে বিশাল গ্রহ বৃহস্পতি, যার কক্ষপথের কারণে সৃষ্ট পরিবর্তন জীবনযাপনের উন্নতির জন্য পৃথিবীর সক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
গবেষণাটির প্রধান ইউসিআরের বিজ্ঞানী পাম ভারভোর্ট বলেছেন, ‘যদি বৃহস্পতির অবস্থান অপরিবর্তিত থেকে এর কক্ষপথের আকৃতি পরিবর্তিত হয় তবে তা আসলে এই গ্রহের বাসযোগ্যতা বাড়াতে পারে।
অন্যদিকে অনেকেই নিশ্চিতভাবে মনে করেন যে পৃথিবী একটি বাসযোগ্য গ্রহের প্রতীক এবং বৃহস্পতি বিশাল গ্রহ হওয়ায় এর কক্ষপথে যেকোনো পরিবর্তন শুধু পৃথিবীর জন্য খারাপ হতে পারে। আমরা গবেষণায় দেখিয়েছি যে দুটি অনুমানই ভুল। ’
যখন আরো এককেন্দ্রিক—ডিম্বাকৃতির কক্ষপথগুলো সেই কক্ষপথের গ্রহগুলোকে কাছাকাছি নিয়ে আসে এবং কক্ষপথের বিভিন্ন স্থানের নক্ষত্রগুলোকে আরো দূরে নিয়ে যায় তখন আরো বৃত্তাকার কক্ষপথের গ্রহগুলো তাদের নক্ষত্র থেকে একটি অবিচলিত দূরত্ব বজায় রাখে। একটি নক্ষত্রের সান্নিধ্য নির্ধারণ করে যে এটি কতটা বিকিরণ গ্রহণ করে এবং কিভাবে একটি গ্রহের জলবায়ুকে প্রভাবিত করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যদি বৃহস্পতির কক্ষপথ আরো এককেন্দ্রিক হয়ে ওঠে তবে পৃথিবীর কক্ষপথও আরো এককেন্দ্রিক হয়ে উঠবে। যার অর্থ, পৃথিবী বর্তমানের তুলনায় সূর্যের আরো কাছাকাছি চলে যাবে।
যার ফলস্বরূপ, আমাদের গ্রহের কিছু শীতলতম অংশ বাসযোগ্য হওয়ার জন্য উষ্ণ হয়ে উঠবে।
গবেষকদলটি মনে করে, তাদের প্রাপ্ত ফলাফলগুলো জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সৌরজগতের বাইরে কোন গ্রহগুলো এবং এক্সোপ্ল্যানেটগুলো বাসযোগ্য হতে পারে তা নির্ধারণ করতে সহায়তা করবে। কারণ একটি গ্রহ থেকে তার নক্ষত্রের দূরত্ব এবং এর ভিন্নতা নির্ধারণ করে যে এর বিভিন্ন অংশ কতটা বিকিরণ গ্রহণ করে ও ঋতু তৈরি করে।
এই নতুন গবেষণাটি কাছাকাছি গ্যাস জায়ান্টগুলোর কক্ষপথ এবং গতিবিধির দিকে নজর রেখে তার বাসযোগ্যতা অনুমান করতে সাহায্য করতে পারে।
গবেষণাটি অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
সূত্র : স্পেস.কম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।