দেশে বেকারি ও ব্যভারেজ পণ্যের উপর করের চাপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগেও এসব পণ্যে করের চাপ ছিল। এমনকি আশেপাশের দেশেও এত কর দিতে হয় না। এভাবে যদি কর বাড়ানো হয় তাহলে এসব ইন্ডাস্ট্রিতে বাজে প্রভাব পড়বে।
বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত উদ্যোক্তারা। এজন্য ব্যবসায়ীরা এ সমস্ত কর প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত মাসে শতাধিক পণ্যের উপর ভ্যাট আরোপ করে। এ কারণে সস, কেক ও বিস্কুটের মত পণ্যে ১০ ভাগ ভ্যাট বৃদ্ধি পায়।
যারা ফলের জুস খেতে পছন্দ করে তাদের জন্য ভালো সংবাদ নেই। এখানে পাঁচ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকসে যার অভ্যস্ত তাদের অতিরিক্ত পনেরো শতাংশ দিতে হচ্ছে। প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বাড়তি কর বসিয়েছে সরকার।
এ কারণে শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ফিনিশড পণ্যের উপরে ট্যাক্স বসালে অটোমেটিক বাজারে দাম বৃদ্ধি পায়। এতে করে সাধারণ মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। পাশাপাশি বিক্রি তুলনামূলকভাবে কমে যায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মানুষের আয়ের সঙ্গে দেশে প্রক্রিয়াজাত খাবারের বাজার বাড়ছে। তবে, এখনও মাথাপিছু ভোগের পরিমাণ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় কম।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘পার ক্যাপিটা কনজামশনের দিক থেকে বাংলাদেশে কনজামশন প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর তুলনায় কম। এটার মুখ্য কারণ হলো আমাদের ট্যাক্সের পরিমাণ বেশি। আমরা মনে করি, আমাদের বেভারেজে ট্যাক্সের পরিমাণ বেশি। আমাদের জুসের ট্যাক্সের পরিমাণ ভারত ও থাইল্যান্ডের তুলনায় ৩ গুণ।’
অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভুইয়া বলেন, ‘যেটা খুবই খারাপ লাগে। যারা ভ্যাট দিচ্ছে তাদের ওপরেই বেশি চাপাচাপি করে। যারা ভ্যাট দিচ্ছে না তাদের কাছেও এরা যায় না। যায় না এটা ঠিক না, ওরা আন্ডারগ্রাউন্ডে কিছু একটা করে।’
এদিকে, বর্ধিত ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী সোমবার রাজস্ব ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিলেও এনবিআর চেয়ারম্যানের আহ্বানে তা স্থগিত করেছেন ব্যবসায়ীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।