জুমবাংলা ডেস্ক : প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি না করার জটিলতার মধ্যেই যশোরের মণিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কপালিয়া পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা অদ্ভুত এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছেন।
জানা যায়, আদেশ না মানায় ৬ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দিয়েছেন ওই শিক্ষিকা।
এ ঘটনায় স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সামিউল ইসলাম মুন্না বলে, চুল লম্বা হয়েছে, কাটতে হবে- এমন আদেশ না মানায় ম্যাডাম মাথার চুল এলোমেলো করে কেটে দিয়েছেন। লজ্জায় মাথায় ক্যাপ পরে ক্লাসে এসেছি।
শুধু মুন্না না। ওই স্কুলের শিক্ষিকা নাজিরা আফরোজের আদেশ না মানায় শাস্তি হিসেবে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির আরও পাঁচ শিক্ষার্থীর মাথার চুল এভাবে কেটে দিয়েছেন। এ ঘটনায় অভিভাবকরা ওই শিক্ষিকার শাস্তি দাবি করেছেন। ইতোমধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সহপাঠীদের সামনে এমনইভাবে চতুর্থ শ্রেণির রিফাত হেসেন, রাব্বি হাসান, মেহেদী হাসান ও অভি মন্ডলকে ওই শিক্ষিকা চুল কেটে দিয়েছেন। এদের মধ্যে রাব্বি, মেহেদী ও অভি লজ্জায় আর ক্ষোভে বিদ্যালয়ে আসছে না।
মুন্নার বাবা আব্দুল মান্নান, রাব্বির বাবা নূর ইসলাম গাজীসহ একাধিক অভিভাবক ক্ষোভের সঙ্গে জানান, শিশুদের সঙ্গে শিক্ষকের এমন আচরণ মেনে নেয়া যায় না। তারা শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ওই স্কুলে তাদের বাচ্চাদের পড়ালেখা করাবেন কি না ভেবে দেখবেন বলেও জানান।
শিক্ষিকা নাজিরা আফরোজ পাঁচ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কাটার কথা অস্বীকার করে বলেন, শুধুমাত্র পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের চুল লম্বা ছিল তা কেটে দিতে গেলে নড়াচড়া করায় খোজ-খাবলা হয়েছে।
স্কুল সভাপতি সদর আলী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, সভা ডেকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেহেলী আফরোজ বলেন, ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ ওয়াহিদুল আলম বলেন, এ ধরনের অমানবিক অভিযোগের সত্যতা পেলে তাকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।