স্পোর্টস ডেস্ক: আল-খোর শহরে অবস্থিত কাতারের অন্যতম আইকনিক স্টেডিয়াম আল বায়াত। অসামান্য নির্মাণশৈলীতে এটি তৈরি করা হয়েছে বেদুঈন জাতিদের তাবুর আদলে। উদ্বোধনী ম্যাচসহ এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ৯টি ম্যাচ। এদিকে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের পর্দা উঠতে আর বেশি সময় বাকি নেই। বিশ্বকাপকে ঘিরে এরইমধ্যে কাতারের স্টেডিয়ামগুলো সেজেছে অপরূপ সৌন্দর্যে।
দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়াম তৈরিতে ফুটবল বিশ্বে চমক তৈরি করেছে কাতার। ভিন্ন নির্মাণশৈলীতে ব্যয়বহুল স্টেডিয়াম তৈরি করে আয়োজক দেশটি খরচ করেছে সিংহভাগ অর্থ। কিক অফের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে কাতারের ৮ স্টেডিয়ামের সবকটি। দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের পর্দা উঠার সাথে সাথে ফুটবলপ্রেমীরা উপভোগ করতে পারবেন চোখ ধাঁধানো স্টেডিয়ামগুলো।
কাতারের অন্যতম জাঁকজমকপূর্ণ আল বায়াত স্টেডিয়াম। রাজধানী দোহা থেকে ৩৫ কিলোমিটার উত্তরে আল-খোর শহরে অবস্থিত এটি। স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডরের মধ্যকার ম্যাচ দিয়েই এই স্টেডিয়ামে উদ্বোধন হবে বিশ্বকাপের। লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামের পর আল-বায়াতেই নজর থাকবে সবার।
আল বায়াত স্টেডিয়ামটি নির্মিত হয়েছে বেদুঈন জাতিদের তাঁবুর আদলে। বেদুঈনদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র সেই সাথে তাঁবুর অংশবিশেষ দিয়ে করা হয়েছে সৌন্দর্যবর্ধন। আধুনিক হলরুমের সাথে স্টেডিয়ামটিতে রয়েছে ৬০ হাজার ধারণক্ষমতা। সবুজায়ন ও কৃত্রিম হৃদে স্টেডিয়ামটি বিস্তৃত হয়েছে সমুদ্র পর্যন্ত।
যাতায়াতের ক্ষেত্রে বেশ বেগ পেতে হবে ফুটবলপ্রেমীদের। রাজধানী থেকে অনেকটা দূরে হওয়ায় কষ্টকর হতে পারে যাত্রা। তবে ভোগান্তি লাঘবে দোহা থেকে আল খোর পর্যন্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে মেট্রোরেলের। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ, একটি সেমিফাইনালসহ সর্বমোট ৯টি ম্যাচে বল গড়াবে এই নান্দনিক স্টেডিয়ামে।
বিশ্বকাপের পর স্টেডিয়ামটির তাঁবু আকৃতির ছাদ খুলে ফেলার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরে খোলা অংশ রূপান্তরিত হবে পাঁচ তারকা হোটেলে। সেই সাথে স্টেডিয়ামের পাশে তৈরি করা হবে শপিং মল, জিম, মাল্টিপারপাস হল ও ফুডকোর্ট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।