জুমবাংলা ডেস্ক : অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপদির্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। দুদক মহাপরিচালক আকতার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ছয় মামলার মধ্যে বেনজীর, তার স্ত্রী জিসান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে চারটি মামলা করা হয়েছে। বাকি দুটি মামলা হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রেসিডেন্ট মতিউর এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলীর বিরুদ্ধে।
জানা যায়, ৮৫ কোটি ৩২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে আলোচিত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও ২ মেয়ে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আলোচিত সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার স্ত্রীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৬ মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এর মধ্যে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রায় ৭৫ কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। আর মতিউর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রায় দশ কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের কথা বলা হয়েছে মামলায়।
বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিপুল সম্পত্তি অর্জনের বিষয়ে গত মার্চের শেষে দুই পর্বের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। ওই প্রতিবেদনে উঠে আসা অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য ৪ এপ্রিল দুদকে আবেদন করেন এক আইনজীবী।
এই দুই ঘটনার পর গত ১৮ এপ্রিল দুদকের সভায় সাবেক এই পুলিশ প্রধানের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর এর জন্য একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করে দুদক। কমিটির সদস্যরা হলেন, দুদক উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক নিয়ামুল হাসান গাজী ও জয়নাল আবেদীন।
অভিযোগ যাই থাকুক না কেন, আদালতে উপস্থাপনযোগ্য তথ্য প্রমাণ পেলে কাউকেই ছাড় না দেওয়ার কথা জানায় দুদক। সংস্থাটি বলছে, একইভাবে পর্যাপ্ত প্রমাণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া যায় না।
ওই সময় দুদক কমিশনার জহুরুল হক বলেন, বিভিন্ন তথ্য নিয়ে তা পর্যালোচনা করে যা ব্যবস্থা হয়, যদি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয় তাহলে মামলা করার প্রস্তাব করা হবে। না হলে তারা (তদন্ত কমিটি) ফাইনাল রিপোর্ট দেবে। আর যদি মামলা প্রস্তাব করে কমিশন গ্রহণ করে তাহলে পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এদিকে, গত কোরবানির ঈদের আগে কোরবানির জন্য রাজধানীর সাদেক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনার জন্ম দেন সাবেক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে ইফাত। তবে, শুরুতে মতিউর রহমান ইফাতকে ছেলে হিসেবে পরিচয় দেননি। পরে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী জানান, ইফাত তাঁর মামাতো বোনের সন্তান। আর মতিউর রহমানই তার বাবা।
এই ঘটনার পর তাকে এনবিআরের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া মতিউর রহমানের বিভিন্ন জায়গায় থাকা সম্পদও জব্দ করে আদালত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।