বেরোবি প্রতিনিধি : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিজ বিভাগে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছে।
রবিবার (৫ই মে) দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা জড় হয়। এরপর আইন অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে এবং বিভিন্ন স্লোগান তুলে।
জানা যায়, গত ১০ মার্চ গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম বিভাগীয় প্রধান হিসেবে তার মেয়াদ শেষ করেন। এরপর সহকারী অধ্যাপক নিয়ামুন নাহারকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি বিভাগীয় প্রধানের পদে যোগদান করতে অপারগতা প্রকাশ করায় দ্বিতীয়বার অন্য একজন সহকারী অধ্যাপককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনিও যোগদান করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তৃতীয়বার আরেক শিক্ষককে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়; কিন্তু তিনিও দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। এরপর প্রায় দুই মাস বিভাগীয় প্রধানের পদ খালি থাকায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জটিলতায় পড়েন। এই জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। তাদের দাবি, নিয়ম অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেওয়া হোক।
পরীক্ষাসহ অন্যান্য বিষয় বাস্তবায়ন করা হোক। পরবর্তী অফিস শুরু হওয়ার আগে তারা বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের হুঁশিয়ারি দেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী জীবন প্রধান অহি বলেন, ‘গত ১৮ এপ্রিল আমাদের তিনটি ব্যাচের পরীক্ষার তারিখ ছিল; কিন্তু একটি ব্যাচেরও পরীক্ষা হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি পরীক্ষা না হয় তাহলে আমরা সেশনজটে পড়ব। আমাদের খেলাধুলা আয়োজন করার কথা ছিল, সেটাও হয়নি।
আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী জান্নাত সৃষ্টি বলেন, ‘বিভাগীয় প্রধানের স্বাক্ষর ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী সার্টিফিকেট উত্তোলন করতে পারে না, এমনকি অন্যান্য কাগজপত্র নিতে পারে না। এ কারণে শিক্ষার্থীরা চাকরির পরীক্ষাও দিতে পারছে না। আমরা আগামীকাল অফিস শুরু হওয়ার আগে বিভাগীয় প্রধান চাই।’
অন্য শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের ক্লাসগুলো শেষ; কিন্তু পরীক্ষা হয়নি। কারণ আমাদের বিভাগীয় প্রধান নেই। নিয়ম অনুযায়ী আমাদের বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেওয়া হোক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারা কেউ দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। আইনি জটিলতার কারণে অন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। এটা নিয়ে আমাদের ভিসি স্যার কাজ করছেন। আশা করছি দ্রুত একটা সমাধান হবে।’
বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব প্রত্যাখ্যান করার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সহকারী অধ্যাপক নিয়ামুন নাহার বলেন, ‘আমি পিএইচডির জন্য থিসিসের কাজ করছি। আবার বিভিন্ন ব্যাচের ক্লাস নিতে হয়, পরীক্ষার খাতা দেখতে হয়। এর সঙ্গে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব―সবগুলো একসঙ্গে করা আমার জন্য অসম্ভব। এ বিষয়ে আমি প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।