আবু সাঈদ : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বাজেট বৈষম্য ঘিরে আন্দোলন নিয়ে সমন্বয়কদের বাকবিতন্ডার ভিডিও ধারণের সময় সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুর ১২:১৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
মোবাইল কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে দৈনিক সংবাদ পত্রিকার বেরোবি প্রতিনিধি আবু সাঈদ বলেন, “গতকাল সোমবার থেকে বাজেট বৈষম্য নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। ঐ আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে আজ বেলা ১১:৩০ টায় শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে সমবেত হয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারক লিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। আমি ১১:৩০ টার পর পেশাগত দায়িত্ব পালন করার জন্য আবু সাঈদ চত্বর গিয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দিকে গেলে গেইটের সামনে কয়েকজন সমন্বয়কসহ ১০- ১৫ জনকে কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিতে দেখে কর্মসূচি শুরু হওয়ার জন্য সেখানে অপেক্ষা করি। আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম হওয়ায় কিছুক্ষণ পর আন্দোলনের সমন্বয়হীনতা নিয়ে সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ এবং সমন্বয়ক জাহিদ হাসান জয় বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। দুজনে দুই এক দফা বাকবিতন্ডায় জড়ানোর পর এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ সমন্বয়ক জয়ের দিকে তেড়ে যায়। এসময় আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে আমি মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ করলে সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ ক্ষিপ্ত হয়ে আমার হাত থেকে মোবাইলটি কেড়ে নেয়। তারপর সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা সোহাগের কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার করে আমাকে দিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থী আহমদুল হক আলবির বলেন, “আজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং রংপুরের বাজেট নিয়ে যে আন্দোলন হওয়ার কথা ছিল, তা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের মতবিরোধের কারণে ভণ্ডুল হয়ে যায়।
দুপুর ১২টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে পূর্বনির্ধারিত আন্দোলনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে আমরা অবস্থান নেই। সেই সময় আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। ওই অবস্থায় আমাদের ক্যাম্পাস সাংবাদিক আবু সাঈদ ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করছিলেন। এ সময় শারিয়ার সোহাগ, যিনি ওই বাকবিতণ্ডায় জড়িত ছিলেন, তিনি সাংবাদিক আবু সাঈদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেন।”
এ বিষয়ে সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ সাংবাদিকদের বলেন, “আমি ফোন কেড়ে নিয়ে কোন ভুল করিনি। কিন্তু আমি সরি বলছি কারণ ওই মুহূর্তে আমার মাথা গরম ছিল। সেজন্য আবু সাইদের সাথে আমার তর্কাতর্কি হয়েছে। সেই জন্য সরি বলেছি ,তাকে বলেছি বন্ধু বুঝতে পারতেছো আমার সিচুয়েশনটা ।কিন্তু তার ফোনটা কেড়ে নিয়ে ভিডিও বন্ধ করাতে আমি কোন ভুল করিনি।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মো ফেরদৌস রহমান বলেন, সাংবাদিকরা এর আগেও ফ্যাসিস্টদের আক্রমণের শিকার হন। আবু সাঈদের ক্যাম্পাসে সাংবাদিকরা যদি আবারও এরকম ঘটনার সম্মুখীন হয় তাহলে এটা মেনে নেওয়ার মতো না
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।